খালেদ আশরাফি , রেগুলেটেড ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট , কানাডা

PicsArt_07-25-08.45.15.jpg

খালেদ আশরাফি , রেগুলেটেড ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট , কানাডা

কেমন আছেন ?
অসাধারণ ! আল্লাহ অনেক ভালো রেখেছেন |

আপনিতো অনেক বছর ধরে কানাডা আছেন ? কেমন যাচ্ছে ?
আমি 2০১৩ সাল থেকে কানাডা বসবাস করছি | অনেক ভালো আছি আলহামদুল্লিল্লাহ |

আমি এডভেঞ্চার লাইক করি | জীবনে একঘেয়ামি চলে এসেছিলো | নতুন কিছু অভিজ্ঞতার খুব প্রয়োজন ছিল , তাই এই জায়গা পরিবর্তন | পৃথিবীটা আসলে অনলাইন এর কারণে অনেক বেশি কানেক্টেড | দূরত্ব এখন শুধু মানুষিক | বাস্তবে এখন আর দূরত্ব নেই | আমার মাটি ও মানুষের ভালোবাসা অনেক মিস করি | কিন্তু জীবনে বৈচিত্র নিয়ে আসতে আপনি কিছু হারাবেন কিছু পাবেন | এটাই জীবন |

কি করছেন ওখানে ?

গত ৮ বছর আমি একটি ফিনান্সিয়াল কোম্পানিতে কাজ করেছি এবং কিছু এন্ট্রেপ্রেনারশিপ ও আছে | সম্প্রতি আমি ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করা শুরু করেছি |

হঠাৎ ইমিগ্রেশন কনসাল্টেন্ট কেন ?

ইমিগ্রেশন নিয়ে কাজ করছি ১০ বছর ধরে | গত ১০ বছরএ আমি আমার অনেক বন্ধু ,সহকর্মী এবং পরিচিত অনেককেই কানাডা ইমিগ্রেশন এ বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছি |অতএব বিষয়টা নতুন নয় , পেশা হিসাবে নতুন বলতে পারেন | এখন আমি আমার পেশা হিসাবেই করছি | সহজ করে বললে আমি এখন লাইসেন্সড পরামর্শক |

লাইসেন্সড পরামর্শক বা রেগুলেটেড ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট বিষয়টি কি ?

কানাডা তে যেকোনো কাজ করতে গেলে আপনাকে ওই বিষয়ে পড়াশুনা এবং প্রশিক্ষণ থাকতে হবে | ইচ্ছে করলেই আপনি যেকোনো কাজ করতে পারবেন না | সেটা চুল কাটা থেকে শুরু করে জাহাজ চালানো পর্যন্ত , যেকোনো কাজ | আর এর মাধ্যমে একটা জবাব দিহিতা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ভোক্তা নিশ্চয়তা পায় |
ইমিগ্রেশন কন্সালটেন্সি একটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় , যার মাধ্যমে একজন মানুষ তার জীবন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন | সেই সাথে এটাতে অনেক ফিনান্সিয়াল বিষয় জড়িত | কানাডিয়ান সরকার এই গুরুত্ব বুঝেই , নিজেই বিষয়টি তদারকি করেন | যার ফলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং ভোক্তা প্রতারিত হওয়া থেকে রক্ষা পান | একজন ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট হতে হলে আপনাকে একটা কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান এ ইমিগ্রেশন কন্সালটেন্সি নিয়ে পড়াশুনা করতে হবে , ইমিগ্রেশন নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে , পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো পুলিশ কেস থাকতে পারবেনা এবং পরিশেষে পরীক্ষায় পাশ করতে হবে | তৰেই আপনি ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট হিসাবে কাজ করার সুযোগ বা লাইসেন্স পাবেন |

বিশেষ ভাবে বললে , আমি কানাডিয়ান জাতীয় ইমিগ্রেশন নিয়ন্ত্রক পরিষদ এর একজন সদস্য |

আপনি এই প্রফেশনে কেনো আসলেন?

বাংলাদেশে ইমিগ্রেশন নিয়ে অনেক অস্বচ্ছ আর প্রতারণার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে | অথচ একটু সচেতনতা তৈরী করতে পারলে মানুষ এই বিপদ থেকে রক্ষা পাবে | এতো বড়ো জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ আর সঠিক পরামর্শের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর বিশাল সুযোগ রয়েছে | আমি এই পরিবির্তন টা শুরু করতে চাই |
মানবসম্পদ উন্নয়ন একটি দেশের পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ | আমরা এই বিষয়টাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি | আমরা ছাত্রদের নিয়ে অনেক বেশি মনোযোগ নিয়ে কাজ করছি | এটা আরো বৃহৎ আকারে করার পরিকল্পনা করছি |

সেই সাথে কেউ যেন প্রতারিত না হয় তার জন্য সবরকম কাজ করবো ইনশাআল্লাহ |

বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা আপনার কনসালটেন্সি ফার্ম থেকে কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে?
বাংলাদেশে ইমিগ্রেশন নিয়ে কাজ করে এমন কনসালটেন্সি ফার্মের অভাব নেই | তবে অভাবের জায়গাটা হচ্ছে বিশ্বস্ততার।দেশের কনসাল্টেন্সি ফার্মগুলো অনেক লোভনীয় অফার দেয়, কিন্তু ইমিগ্রেশন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জ্ঞান না থাকায় তারা অনেক ক্ষেত্রেই প্রতারিত হচ্ছে। আমাদের ক্ষেত্রে আমরা পুরো ইমিগ্রেশন প্রচেষ্টাকে পানির মত স্বচ্ছ করে বর্ণনা করব এবং অতিরঞ্জিত কোন কিছুই বলবো না যেটা বর্তমানে কথার সাথে ভবিষ্যতের মিল না পাওয়া যায় |
আমরা ছাত্রদের সাথে তার বাবা /মা কেও ইমিগ্রেশন সম্পর্কে ধারণা দিবো | যাতে করে ভবিষ্যতে ইমিগ্রেশন নিয়ে সবাই একটা সাধারণ ধারণা পায় | স্বচ্ছতা প্রতিস্থাপন করাই আমাদের মূল উদেশ্য |

বাংলাদেশী ছাত্রদের বিদেশে পড়াশুনার জন্য কিভাবে কাজ করবেন ?

আমরা একজন ছাত্রকে ইমিগ্রেশন সম্পর্কে পুরো ধারণা দিবো , যার ফলে – সে কি চায় তার সাথে বাস্তবতার একটা সেতুবন্ধন হবে | যেমন ধরুন , একজন ছাত্র কিভাবে উপার্জন করবে, সে কি ওই দেশে কাজ করবে, তার কি ওই দেশে এস্থায়ী ভাবে থাকার ইচ্ছে আছে – এসব বিষয় তাকে আমরা আগেই বলে দিবো| অতএব সে পরিকল্পনা করে প্রস্তুতি নিতে পারবে| তার ভিশন সম্পর্কে সে পরিষ্কার থাকবে| যেটা কিনা তার কনফিডেন্স বাড়াবে|

বাংলাদেশে,থাকা অবস্থায় আমি উপলব্ধি করেছি,কলেজ/ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা উন্নত জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে ফাস্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিগুলোতে তথা কানাডা,আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া বসবাস করতে চায়| উন্নত এই দেশগুলোর প্রতি তাদের দারুণ আগ্রহ দেখি।শিক্ষার্থীদের এই ইচ্ছাশক্তি বা ইমোশনকে পুঁজি করে দেশের নামিদামি কিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠান নিজেদের ইমিগ্রেশন কনসালটেন্সি ফার্ম খুলে বসে। যার ফলে এদের প্রধান উদ্দেশ্যই থাকে স্টুডেন্টদের ইমোশনকে পুঁজি করে ব্যবসা করা। স্টুডেন্টরা ধরে নেয় যেহেতু নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তারা নিশ্চয়ই প্রতারণা করবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এদের মধ্যে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই দেশে বা বিদেশে লাইসেন্স প্রাপ্ত নন। তাই তাদের কোনো জবাবদিহিতা বা ভয় বলে কিছু নেই।

আর আমাদের প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যই হচ্ছে স্টুডেন্টদের ইমিগ্রেশন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিয়ে তাদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে কানাডায় নিয়ে আসা। যেহেতু আমি নিজেও কানাডার নাগরিক এবং বাংলাদেশের একজন সন্তান। সেই জায়গা থেকে আমার মনে হল দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আমার কন্ট্রিবিউট করার মত অনেক সুযোগ আছে। যেহেতু আমি এই বিষয়ে পড়াশোনা করেছি এবং আমি আমার শতভাগ চেষ্টা দিয়ে দেশের মানুষকে সাহায্য করতে চাই।

মানূষ কিভাবে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবে ?

আমাদের কোম্পানির নাম – Ashar Immigration Services , কানাডার এডমন্টন শহরে অবস্থিত|
ঠিকানা : হাউস :২৫০৫ – রোড : ১১৬ , এডমন্টন , আলবার্টা, কানাডা |

আমাদের ওয়েবসাইট -asharimmigration.com | youtube – Ashar immigration | Email – asharimmigration@gmail.com

আমরা অতিসম্প্রতি দুবাই এবং কোরিয়াতেওঁ কাজ শুরু করতে যাচ্ছি| কেউ চাইলে আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে – আমার ফেইসবুক_ Khaled Ashrafi | email-Khaledsweb@gmail.com
ঢাকায় আমরা শীগ্রই আমাদের অফিস উদ্ভোদন করবো| সবাই অনলাইন এবং নিউজপেপার এ আমাদের ঠিকানা পেয়ে যাবেন |

সবার উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন ?

সঠিক খোঁজখবর না নিয়ে ইমিগ্রেশন এর মতন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিবেন না| আর ছাত্রদের বলবো, আপনার বাবা/মা কে নিরাপদ রাখার জন্য এবং তাদের কষ্টার্জিত টাকা যেন অযথা নষ্ট না হয়, সেজন্য একটু সময় নিয়ে ইনফরমেশন যাচাই করার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের|
সবাইকে বলতে চাই – ইমিগ্রেশন নিয়ে যে কোনো প্রয়োজনএ আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top