বিকল্প ফসল চাষের মাধ্যমে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব – কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এমপি

PicsArt_07-12-07.41.11.jpg

বিকল্প ফসল চাষের মাধ্যমে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব – কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এমপি

সাগর চৌধুরীঃ কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, দেশে এখন ফসলের অনেক উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে ভুট্টা চাষের সম্ভাবনা অনেক। অনেক অপ্রচলিত অর্থকরী উচ্চমূল্যের ফসল ও ফল চাষেরও সুযোগ এখন তৈরি হয়েছে। তামাকের পরিবর্তে এগুলোর চাষ করে তামাকের চাষ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

কৃষিমন্ত্রী সোমবার বিকালে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে যুক্ত হয়ে ‘তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য উৎপাদনে করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধেী জোট (বাটা) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন তামাক চাষ করার কোন যৌক্তিকতা নেই। তামাক চাষের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কোন গবেষণা পরিচালনা করা হয় না। মন্ত্রণালয় থেকে ভর্তুকি প্রদান ও কোন রকম সহযোগিতাও প্রদান করা হয় না। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বিকল্প ফসলের চাষ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করতে হবে।

ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন টিসিআরসির প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বিশেষ অতিথি হিসাবে সংযুক্ত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, পিকেএসএফের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গনেশ চন্দ্র সাহা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।

এছাড়া,আন্তর্জাতিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের হেডস অব প্রোগ্রামস মো. শফিকুল ইসলাম, সিটিএফকের লিড পলিসি এ্যাডভাইসার মো: মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, প্রমুখ বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসাবে ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা বলেন, দেশের কৃষি জমির একটি বড় অংশে তামাক চাষ হয়। এসকল জমিতে খাদ্য শস্য চাষ করা হলে তা দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও উদ্বৃত্ত খাদ্য রপ্তানির মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

অন্যদিকে, তামাক চাষ কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট এবং কৃষক ও কৃষকের পরিবারের স্বাস্থ্যহানিসহ আশেপাশের পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। দেশের আবাদি জমি রক্ষা, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ ও তামাকের বিকল্প ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ওয়েবিনারে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top