বাংলাদেশ আইন সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এম জুয়েল আহমেদ
স্টাফ রিপোর্টঃ আইন অঙ্গণের তরুণ আস্থাশীল ব্যক্তিত্ব এম জুয়েল আহমেদ আইন অঙ্গনের এক উজ্জল নক্ষত্র । সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশের অকুতোভয় এ সৈনিককে বাংলাদেশ আইন সমিতির আসন্ন সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে আগ্রহী বাংলাদেশ আইন সমিতির অধিকাংশ ও আইন অঙ্গনের সর্বস্থরের নেতা-কর্মীরা।
এম জুয়েল আহমেদ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গাজিরপাড় গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. সিরাজুল ইসলাম পারিবারিক ভাবেই একজন ব্যবসায়ী এবং মাতা রওশন আরা একজন গৃহিনী।
এম জুয়েল আহমেদ ১৯৯৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যশোর বোর্ড ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে সম্মিলিত মেধা তালিতায় ৭ম স্থান অধিকার করেন।
অতঃপর ঢাকা বোর্ডের অধিনে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে ২০০১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে মাত্র ৯ মার্কসের জন্য মেধা তালিকায় স্থান পাননি। তবে স্টার মার্কস পেয়ে কৃতিত্বের সাধে উত্তীর্ন হন।
২০০১-০২ সেশনে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে বাণিজ্য বিভাগে ৯৬ তম স্থান অধিকার করে বিবিএ (হিসাব বিজ্ঞান) বিভাগে ভর্তি হন।
২০০২-০৩ সেশনে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে মেধা তালিকায় ১৫ তম স্থান অধিকার করে আইন বিভাগে ভর্তি হন।
এম জুয়েল আহমেদ স্কুল জীবন থেকেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ বুকে নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, পরবর্তীতে সাইন্স এনেক্স ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।
১/১১ কালীন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখেন এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় হতে এলএলবি ও এলএলএম শেষ করে ২০০৯ সালে এ্যাডভোকেট হিসেবে নিম্ন আদালতে এবং ২০১২ সালে সুপ্রিমকোর্ট বিভাগে প্র্যাকটিসের অনুমতি লাভ করে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের একজন উদীয়মান আইনজীবি হিসেবে নিয়মিত আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন।
এম জুয়েল আহমেদ ২০১২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং একই বছরৈ আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদ সুপ্রীমকোর্ট শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে যথাযথ ভাবে পালন করেন।
২০১৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে নিষ্ঠার সাথে পালন করেন।
২০১৬ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আইন উপ-কমিটির সদস্য ও ২০১৯ সালে সাউথ এশিয়ান ল’ইয়ার্স ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যবধি আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়া ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি’র সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়ে সততা ও বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যক্তিগত, পেশাগত ও রাজনৈতিক জীবনে তিনি অত্যন্ত বিনয়ী ও সফল এই নেতাকে বাংলাদেশ আইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক করা হলে সমিতির উন্নয়নে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে পারবেন বলে আইন অঙ্গণের সকলের বিশ্বাস।
ইতোমধ্যে জুয়েল আহমেদকে বাংলাদেশ আইন সমিতির আসন্ন সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চেয়ে অসংখ্য ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা পোষ্ট দিয়ে আলোচনার ঝড় তুলেছেন। কেমন নেতৃত্ব আশা করেন -এবিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ আইন সমিতির সবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান শরিয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃনুরুল আলমের সাথে তিনি জানান, অবশ্যই আইনজীবী ও জনবান্ধব, মেধাবী তরুণ আস্থাশীল নেতৃত্ব আশা করেন তিনি।
এম জুয়েল আহমেদের বিষয়ে তার জানতে চাইলে তিনি উৎফুল্ল চিত্তে বলেন,অবশ্যই জুয়েল সাহেব নেতৃত্ব পাওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশ আইন সমিতি বাঙ্গালী জাতির জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সে লক্ষ্য পূরণের জন্য আইন সমিতি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। সেক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল অনেকের চেয়ে এগিয়ে। তিনি আরো বলেন, এম জুয়েল আহমেদ আইনজীবী দের স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি আইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে আইন সমিতির কার্যক্রম আরো বেগবান হবে। সিনিয়র জুনিয়র আইনজীবীদের মধ্যে আত্মার মেলবন্ধন সৃস্টি করতে সক্ষম হবেন বলে মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।
আইন সমিতির আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এ্যাটোর্নি জেনারেল এস কে সাইফুজ্জামান এম জুয়েল আহমেদ এর সম্পর্কে বলেন, সৎ, তরুণ আইনজীবী নেতা এম জুয়েল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান এবং এক্ষেত্রে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী সকল আইনজীবীদের তার পাশে থাকার আহবান জানান। তিনি আগামী মুজিব বর্ষে জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকী এম জুয়েল আহমেদ এর নেতৃত্বে পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে এম জুয়েল আহমেদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন,বাংলাদেশ আইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে আইনজীবীদের ও সংশ্লিষ্টদের স্বার্থে, নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করবেন।