কিশোরী বিয়ে – চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা

PicsArt_04-14-08.47.13.jpg

কিশোরী বিয়ে – চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা

জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমের সম্পর্কের ঘটনায় সালিশে কিশোরীকে জোর পূর্বক বিয়ে, তালাক দেয়া এবং প্রেমিক যুবককে বিষ খাইয়ে মারধরে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার সকালে অভিযুক্ত কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।

প্রেমিক যুবক রমজান হাওলাদারের বড় ভাই হাফেজ মো. আল ইমরান বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মো. জামাল হোসেন মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জেলা পিবিআই প্রধানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আইনজীবী মো. আল-আমিন জানান, কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা সুলতান হাওলাদারের ছেলে মো. রমজান হাওলাদারের (১৭) সাথে একই গ্রামের দুলাল হাওলাদরের মেয়ে নাজমিন আক্তারের (১৩) প্রেমের সর্ম্পক চলছিল। যেহেতু কন্যা নাবালিকা তাই প্রাপ্ত বয়স্ক হইলে তাদের দু’জন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইবে মর্মে পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়।

কিন্তু গত শনিবার রাত ৮টার দিকে চুনারপোল এলাকার নাজমিনের বাড়িতে বসে জোর পূর্বক নাজমিনকে বিবাহ করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।

আইনজীবী জানান, অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

প্রথমত তিনি কন্যা নাবালিকা জেনেও জোর পূর্বক তাকে বিয়ে করেন এবং রমজান হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে এবং বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তালাকনামা সৃষ্টি করেন।

এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ তার ৫ সহযোগী এবং নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী মাওলানা মো. আইয়ুবকে আসামি করা হয়েছে।

আদালতে কিশোরী কন্যা নাজমিন আক্তারের জন্ম সনদ এবং রমজান হাওলাদারের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top