জাতীয় আর্কাইভ বিল সংসদে উত্থাপন

PicsArt_06-03-05.20.36.jpg

জাতীয় আর্কাইভ বিল সংসদে উত্থাপন

সংসদ প্রতিবেদকঃ জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভ বিল, ২০২১’ নামের একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। আজ রবিবার সংসদের চলমান বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে এ বিল উত্থাপন করা হয়।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ সংসদে বিলটি পেশ করেন। ওই বিলে বলা হয়েছে, কোনো নথি ধ্বংস করা যাবে না এবং প্রতিটি নথি সংরক্ষণ (আর্কাইভ) করতে হবে।

হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, ১৯৮৩ সালের ন্যাশনাল আর্কাইভ অর্ডিন্যান্সকে বিলুপ্ত করার জন্য নতুন এই বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে। বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পরীক্ষণের জন্য দেওয়া হয়েছে। কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে সংসদের কাছে এ বিষয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।

প্রস্তাবিত আইনে কোনো ধরণের নথি ধ্বংস করার নিয়ম বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, আর্কাইভে থাকা কোনো নথি ধ্বংস করা যাবে না। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সব গোপনীয় নথির সফট কপিগুলোকে কালিয়াকৈর ডেটা সেন্টারে সংরক্ষণ করতে হবে।

এই দায়িত্ব পালন করবে তিন বছর স্থায়ী একটি ১৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি ও জাতীয় আর্কাইভের মহাপরিচালক (ডিজি)। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, জাতীয় আর্কাইভ আবেদন ও নির্ধারিত অর্থ জমা দেওয়ার বিপরীতে যেকোনো ব্যক্তিকে নথি প্রদান করবে।

৭৫ বছরের বেশি পুরনো এবং ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক মূল্য রয়েছে এরকম কোনো ফাইলকে দেশের বাইরে পাঠাতে হলে মহাপরিচালকের অনুমতি নিতে হবে। যদি মহাপরিচালক মনে করেন এই ফাইল পাঠানোর বিষয়টি দেশের স্বার্থ বিরোধী, তাহলে তিনি অনুমতি নাও দিতে পারেন।

অনুমতি না পেলে, যিনি নথিটি চেয়েছিলেন, তিনি চাইলে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাপরিচালকের সিদ্ধান্ত জানার ১৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তই তাকে মেনে নিতে হবে।

যদি কেউ আর্কাইভের কোনো ফাইল ধ্বংস করে, মুছে ফেলে বা হ্যাক করে, তাহলে শাস্তি হিসেবে তিন বছরের জেল বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতে পারে।

যদি কেউ আর্কাইভ থেকে বেআইনিভাবে কোনো ফাইল নেয় এবং তা নিজের বাড়িতে, বিদেশে অথবা অসৎ উদ্দেশ্যে আর্কাইভ ভবনের বাইরে নিয়ে যায়, তাহলে সে তাকে শাস্তি হিসেবে পাঁচ বছরের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।

১৯৮৩ সালের একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এখন জাতীয় আর্কাইভস পরিচালনা করা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সামরিক শাসন আমলে প্রণীত যেসব আইন বা অধ্যাদেশের এখনও প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোকে পরিমার্জন করে বাংলায় রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেজন্য বিলটি আনা উত্থাপন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top