ভোলায় অবৈধ চিংড়ি রেনু সহ অবৈধ বেহিন্দী জাল দিয়ে মাছ ধরার মহাউৎসব
সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে অবৈধ বেহিন্দী জাল দিয়ে নিধন করা হচ্ছে চিংড়ির রেনু পোনা সহ হাজার হাজার প্রজাতির মাছের ডিম ও রেনু।
ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে, দৌলতখান উপজেলার মাছঘাট সহ চরাঞ্চল এলাকায় অবৈধ বেহিন্দী জাল দিয়ে নিধন করা হচ্ছে চিংড়ির রেনু পোনা সহ হাজার হাজার রেনু বা মাছের পোনা।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীর বড়মানিকা ইউনিয়নের আলীমুদ্দিন বাংলাবাজার, হাকিমুদ্দিন লঞ্চ ঘাটের পাশে, চেয়ারম্যান ঘাট সহ সুইজগাটের আশে পাশে প্রায় প্রতিদিন অবৈধ বেহিন্দী জাল দিয়ে নিধন করছে ইলিশের ঝাটকা সহ হাজারো রেনু পোনা। এদিকে তেতুলিয়া নদীর গংগাপুর ইউনিয়নে, সাচড়া ইউনিয়নে অবৈধ হাজার হাজার বেহেন্দি জাল ফেলে ধরা হচ্ছে মাছ। একাধিক বার প্রসাশনের কাছে অভিযোগ করেও এর প্রতিকার পাওয়া যায় নি।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীর বড়মানিকা ইউনিয়নের আলীমুদ্দিন বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের পাশে মাছ ধরা শেষে ব্লকের উপর অবৈধ বেহিন্দী জাল।
তজুমদ্দিন উপজেলায় মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ চিংড়ি রেনু পোনা আহরণ করা হয়। মেঘনা নদীর তীর ঘেষে নারী, পুরুষ ও শিশুরা নির্বিচারে নিধন করে মাছের পোনা।
লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন ঘাটে নিধন হচ্ছে চিংড়ির রেনু পোনা সহ হাজার হাজার প্রজাতির মাছের পোনা। গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চাইলেও মিলছে না এর নিধনযজ্ঞ।
চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের এসব অবৈধ মাছ ধরা হচ্ছে। অবৈধ চিংড়ি রেনু পোনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গতবছর গনমাধ্যম কর্মিদের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
এই বিষয়ে জানতে চরফ্যাসন উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মারুফ হোসেন মিনার বলেন, অভিযান চলমান আছে। আমরা কঠোর হইতে কঠোরতা হব তবুও চিংড়ী রেনু আর ধরতে দিব না।