মমতার মন্ত্রিসভায় ১৬ নতুন মুখ; নিজের হাতে ৬ মন্ত্রণালয়

মমতার মন্ত্রিসভায় ১৬ নতুন মুখ; নিজের হাতে ৬ মন্ত্রণালয়

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদকঃ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর ফের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যশাসনের ভার পেল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার কলকাতার রাজভবনে শপথ নিলেন নুতন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।

গতবারের মন্ত্রিসভার তুলনায় এবারের আকার যেমন কিছুটা বেড়েছে তেমনি এসেছে বেশ কয়েকটি নতুন মুখও। রাজ্যটির সংবাদমাধ্যমের খবর, এবার মমতাসহ ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভায় এসেছেন নতুন ১৬ জন।

বেড়েছে নারীদের প্রতিনিধিত্বও। আর আগের বারের মতোই স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিজের হাতেই রেখে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও তথ্য-সংস্কৃতিসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করবেন তিনি।
সোমবার কভিড পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ততম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সকাল পৌনে ১১টায় শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় মন্ত্রিসভার ৪৩ জন সদস্য।

এদের মধ্যে ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী। সবাই একসঙ্গে শপথ নেন। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন ১০ জন। একইসঙ্গে শপথ নেন ৯ জন প্রতিমন্ত্রীও।

সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডে, মানস ভুঁইয়া, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ বিশ্বাস, অরূপ রায়, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, জাভেদ খানের মতো হেভিওয়েট বিধায়করা পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন এবারও।

রাজ্যের বিধানসভা আসনের নিরিখে সর্বোচ্চ মন্ত্রী হতে পারেন ৪৪ জন। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এবার মন্ত্রীর সংখ্যা ৪৪-ই হচ্ছে। গতবারের মন্ত্রিসভায় ৪১ জন মন্ত্রী ছিলেন।

কে কোন দপ্তর পেলেন : সুব্রত মুখার্জি (পঞ্চায়েত ও পল্লী উন্নয়ন), পার্থ চ্যাটার্জি (শিল্প, বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষদীয় বিষয়ক দপ্তর), অমিত মিত্র (অর্থ ও পরিকল্পনা), সাধন পান্ডে (ক্রেতা সুরক্ষা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী), জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বন), বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা (সুন্দরবনবিষয়ক), মানস রঞ্জন ভূঁইয়া (জলসম্পদ উন্নয়ন), সৌমেন কুমার মহাপাত্র (সেচ ও জলপথ), মলয় ঘটক (আইন), অরূপ বিশ্বাস (যুব উন্নয়ন ও ক্রীড়া), উজ্জ্বল বিশ্বাস (কারা), অরূপ রায় (সমবায়), রথীন ঘোষ (খাদ্য ও সরবরাহ), ফিরহাদ হাকিম (পরিবহন), চন্দ্রনাথ সিনহা (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প), শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় (কৃষি), ব্রাত্য বসু (স্কুল ও উচ্চশিক্ষা), পুলক রায় (জনস্বাস্থ্য), শশী পাঁজা (নারী ও শিশু কল্যাণ), মো. গোলাম রব্বানী (সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা), বিপ্লব মিত্র (কৃষি বিপণন), জাভেদ আহমেদ খান (অসামরিক প্রতিরক্ষা ও বিপর্যয় মোকাবিলা), স্বপন দেবনাথ (পশুসম্পদ উন্নয়ন) এবং সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (গ্রন্থাগার)।

প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে বেচারাম মান্না (শ্রম), সুব্রত সাহা (খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ), হুমায়ুন কবীর (কারিগরি শিক্ষা), অখিল গিরি (মৎস্য), চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (নগর উন্নয়ন ও পৌরবিষয়ক), রতœা দে নাগ (পরিবেশ), সন্ধ্যারানী টুডু (পঞ্চায়েত উন্নয়ন), বুলু চিক বরাইক (অনগ্রসর সম্প্রদায় উন্নয়ন), সুজিত বসু (অগ্নিনির্বাপণ) ও ইন্দ্রনীল সেন (পর্যটন, তথ্য ও সংস্কৃতি) স্বাধীন দপ্তর পেয়েছেন।

এ ছাড়া দিলীপ মণ্ডল (পরিবহন), আখতারুজ্জামান (শক্তি সম্পদ), শিউলি সাহা (পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন), শ্রীকান্ত মাহাত (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প), ইয়াসমীন সাবিনা (সেচ ও জলপথ), বীরবাহা হাঁসদা (বন), জ্যোৎস্না মান্ডি (খাদ্য ও সরবরাহ), অধিকারী পরেশ চন্দ্র (স্কুল শিক্ষা) এবং মনোজ তিওয়ারি (যুব ও ক্রীড়া)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top