দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না – শাহাব উদ্দিন
বিশেষ রিপোর্টঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। দেশকে ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তানের মতো বানিয়ে দেশকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীদের হুশিয়ারি দিতে চাই, এ দেশকে কোনও দিনই ইরাক, সিরিয়ার মতো বানানো যাবে না। দেশের উন্নয়নকে সহ্য করতে না পেরে, দেশকে পিছনে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্রকারী এ কুচক্রী মহলকে দাতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, কোনো অবস্থায়ই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, উন্নয়নকে ব্যাহত করতে দেয়া হবে না। তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উন্নয়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখা হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়েই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিনত হবে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত ২০২০-২১ অর্থ বছরে খরিফ-১/২০২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ মন্ত্রী উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকদের বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, কোনও কৃষিজমি পতিত রাখা যাবে না। সারা বছর ধান, আলু, ডাল সহ বিভিন্ন প্রকার ফসল ফলাতে হবে। এতে নিজের পাশাপাশি দেশেরও মঙ্গল হবে। মন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারি কালে সবাইকে মাস্ক পরিধান, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা সহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম আল ইমরান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সােয়েব আহমদ, বড়লেখা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মােহাম্মদ তাজ উদ্দিন এবং বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নিয়াজ উদ্দীন, প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ দেবল সরকার।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে ২০২০-২১ অর্থ বছরে খরিফ-১/২০২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বড়লেখা উপজেলায় ১৬০০ জন এবং জুড়ী উপজেলার ১৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের প্রত্যেককে বিনামূল্যে ০১ বিঘা আউশ ধান চাষের জন্য ০৫ কেজি আউশ ধানের বীজ , ২০ কেজি ডিএপি (ডাইঅ্যামােনিয়াম ফসফেট) , ১০ কেজি এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদবোধন করা হয়।