তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ – সাংবাদিকদের ওপর হামলা হলে কঠোর ব্যবস্থা
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে কোনও সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা যদি ঘটে থাকে, আমরা তা খতিয়ে দেখবো। অপরাধ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত।’ দায়িত্ব পালনের সময় তাদের ওপর যেন হামলা না হয় সেজন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
আজ সোমবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চান ডিইউজে নেতারা। এসময় তথ্যমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘হেফাজতের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সঙ্গে বিএনপি জড়িত। কারণ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- এই সরকারকে হটানো হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের আন্ডারে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। এটা তাই প্রমাণ করে। নরেন্দ্র মোদির আগমন মুখ্য বিষয় নয়।’
তিনি বলেন, ‘২০১৩-‘১৪ সালের বিএনপি ও আজকের বিএনপি এক নয়। তেমনি ২০১৩-‘১৪ সালের আওয়ামী লীগ ও আজকের আওয়ামী লীগও এক নয়। আজকের আওয়ামী লীগ আরও বেশি শক্তিশালী ও আত্মপ্রত্যয়ী। আর বিএনপি ক্রমান্বয়ে পরিণত হয়েছে ক্ষয়িষ্ণু দলে।’
সাংবাদিকরা তথ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, গতকাল রবিবার হেফাজতের হরতালের সময় নারায়ণগঞ্জে রাস্তায় অনেককে কলেমা পড়তে বলা হয়েছে, এটা কিসের আলামত? জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ১৯৭১ সালেও হয়েছে। আমরা তখন দেখেছি মানুষকে কালেমা পড়তে বলতে, অনেককে লুঙ্গি খুলে দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। এটা প্রমাণ করে যারা এর সঙ্গে জড়িত তারা পাকিস্তানীদের অনুসারী ও তাদের পরবর্তী প্রজন্ম।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের ওপর হামলা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী। তাদের বুদ্ধিজীবী বলতে আমার লজ্জা হয়। ২০১৩- ‘১৪ সালেও এমনটা হয়েছে। সরকার তখন কঠোর হাতে এগুলো দমন করে দেশে শান্তি বজায় রেখেছে। কাজেই এখন যদি কেউ নৈরাজ্য করে তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’