ডিএনসিসির দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবেঃ ডিএনসিসি মেয়র
নগর প্রতিবেদকঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ভবিষ্যতে ডিএনসিসির দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি আজ সোমবার দুপুরে গুলশানস্থ বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে একটি বেসরকারি পরিবহন ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি এবং একটি জুতা প্রস্তুতকারী কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে ‘স্বাধীনতা সবারই’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। প্রতিষ্ঠান দুটি কর্তৃক ৫০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব নেওয়ায় মেয়র ধন্যবাদ জানান। তাঁর মতে ‘উদ্যোগটি ঐতিহাসিক এবং বৈপ্লবিক’। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের জন্য মেয়র আতিকুল ইসলাম তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরকে রাইডশেয়ারিং কোম্পানিটির সাইকেল ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমার নির্বাচনের স্লোগান ছিল, সবাই মিলে সবার ঢাকা। সুস্থ, সচল, আধুনিক ঢাকা। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য কাজ করাও আমার প্রতিশ্রুতির অংশ। এই দেশে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের লোক থাকবে। দেশ গড়তে হলে সকলকে লাগবে। জাতির জনক একথাই বলে গেছেন। স্বাধীনতা সবারই। সবাই বলতে সকল লিঙ্গকেও বুঝানো হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ সকলকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে চায়’।
মেয়র আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাদের ঘর নাই তাদেরকে ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। সেলাই মেশিন কিনে দেওয়া হচ্ছে, তারা কৃষি কাজ করছে। ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলেই কাজ করে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করার অধিকার রয়েছে’।
মেয়র তাঁর দপ্তরেও দুই জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে নিয়োগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সকল প্রতিষ্ঠান সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যদি দুই জন করেও চাকরি দেয়, তাহলে সকল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের কর্মসংস্থান হয়ে যায়। এ জন্য সকল প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে’।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সামাজিক সংগঠন ট্রান্সএন্ড (TransEnd) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লামিয়া তানজিন তানহা, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যগণ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।