৬ হাজার শূন্য পদ পানি উন্নয়ন বোর্ডে

PicsArt_02-24-07.32.23.jpg

৬ হাজার শূন্য পদ পানি উন্নয়ন বোর্ডে

বিশেষ প্রতিবেদকঃ পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) বর্তমানে বিভিন্ন গ্রেডের পাঁচ হাজার ৯৭৯টি পদ শূন্য রয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এ প্রতিষ্ঠানটিতে অনুমোদিত ১২ হাজার ৬৩৮টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ছয় হাজার ৬৫৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির ১৬তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, এ. এম. নাঈমুর রহমান, সামশুল হক চৌধুরী এবং নুরুন্নবী চৌধুরী অংশ নেন।

বৈঠকে উত্থাপিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সর্বনিম্ন স্তর ২০তম গ্রেডে চার হাজার ৭৫৬টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে দুই হাজার ৯৮০টি। ১৯তম গ্রেডে ৪৭৪টি পদের মধ্যে শূন্য পদ ২৪৫টি। ১৮তম গ্রেডে ৪৩৩টি পদের মধ্যে শূন্য ৩১৯টি। ১৭তম গ্রেডে১১৮টি পদের মধ্যে ১১৫টিই শূন্য। ১৬তম গ্রেডে তিন হাজার ৩৮টি পদের মধ্যে শূন্য পদ এক হাজার ১২০টি। ১৫তম গ্রেডে ৩৫৪টি পদের মধ্যে ৯৩টি শূন্য রয়েছে। ১৪তম গ্রেডে ৬১৪টি পদের মধ্যে ২২১টি শূন্য রয়েছে।

এভাবে, ১৩তম গ্রেডে ২২৬টি পদের মধ্যে ৮৫টি, ১২তম গ্রেডে ১৯৯টি গ্রেডে ৯৮টি, ১১তম গ্রেডে ৪১টি পদের মধ্যে ১০টি, ১০ম গ্রেডে ৯৫৮টির মধ্যে ২৭০টি, ৯ম গ্রেডে ৬৩৯টি পদের মধ্যে ১৩৯টি পদ শূন্য রয়েছে।৬ষ্ঠ গ্রেডের ৩৪৮টি পদের মধ্যে ১৫৯টি, ৫ম গ্রেডে ৩১৩টি পদের মধ্যে ১১৫টি এবং ৪র্থ গ্রেডে ৮৮টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শূন্য রয়েছে।

বৈঠকে নদী পুনঃ ভরাট রোধে খনন করা মাটি বা বালু নদীর তীর থেকে কমপক্ষে ১০০ মিটার দূরত্বে আর নদীভেদে ৫০০ থেকে ১০০০ মিটার দূরে মাটি বা বালু ফেলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সুপারিশ জানানো হয়।

বৈঠকে বর্তমান শুষ্ক মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে নদী খনন কাজ দ্রুত শেষ করা ও মন্ত্রণালয়ের বাজেট বাড়ানোরও সুপারিশ করা হয়।

পাশাপাশি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাজেট বরাদ্দ ও জনবল সম্পর্কিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় বৈঠকে। সেখানে বলা হয়, সরকারের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন। প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি তা যথাসময়ে ছাড় করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী জুনে শেষ করার জন্য ৬৭টি প্রকল্প নির্ধারিত আছে। প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজ শেষ করতে অতিরিক্ত প্রায় ৪ হাজার তিনশো কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন। কিন্তু চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ ও অর্থ ছাড় করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রতিবেদনটি নিয়ে আলোচনা শেষে অধিকাংশ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজে ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। আর অর্থ ছাড়ের কারণে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ যাতে আটকে না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক কার্যক্রমের উন্নয়নের লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অধিদফতরে পরিণত করার সুপারিশ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top