সরকারি কর্মচারী নিয়োগে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক – আ ক ম মোজাম্মেল হক

সরকারি কর্মচারী নিয়োগে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক – আ ক ম মোজাম্মেল হক

বিশেষ প্রতিনিধিঃ আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, এখন থেকে সব পর্যায়ের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে কর্মরতদের টেস্ট করা হবে। তবে গড়ে সবারটা করা হবে না। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যাপারেও এই টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হবে।

বুধবার কমিটির পঞ্চম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, সভায় দেশে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে নজরদারি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) তারা এ বিষয়ে মনিটরিং করার কথা বলবেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশকে মাদকমুক্ত করতে দুটি পাইলট প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তিনটা বিষয় মাদকসেবী, মাদক বিক্রেতা ও আশ্রয় দাতাদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। মাদকের গডফাদারদের তালিকা করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।

মন্ত্রী বলেন, ইয়াবায় দুই-চার বছরে মানুষ অকেজো হয়ে যায়। এর প্রভাব নিয়ে আমরা সন্ত্রস্ত। এই সংকট সমাধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরামর্শ দিয়েছি। মাদকমুক্ত করার জন্য দুটি জেলায় পাইলট প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে একটা কমিটি করা হবে। দুটি জোনে কাজ হবে। পর্যায়ক্রমে তা সারা দেশে করা হবে। এছাড়া মাদকের টাকা কোথায় যায়, কীভাবে দমন করা হবে, তা নিয়ে কাজ করবে কমিটি।

রোহিঙ্গাদের অপরাধপ্রবণতা ও তা নিয়ন্ত্রণ বিষয়েও বৈঠকে কথা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, শরণার্থীরা স্থায়ী নাগরিক হয় না, এটা তাদের সাময়িক আশ্রয়। সেখানে কিছু ক্রাইম হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করছে। ভাসানচরে নিরাপত্তার জন্য যেসব ইকুইপমেন্ট লাগবে, তা মে মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে নজরদারি করার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। কিন্তু আইনের আওতায় থাকা দরকার। অবাধ তথ্য প্রবাহের কারণে জাতীয়ভাবে সমাজ বিভ্রান্তিতে পড়ে। মানবতাবিরোধী, সমাজবিরোধীর বক্তব্য নিয়ন্ত্রণ হওয়া জরুরি। মন্ত্রী বলেন, বিটিআরসিকে তারা এ বিষয়ে মনিটরিংয়ের কথা বলবেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top