কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের ৪০ বছরের কারাদণ্ড
জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাট সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামে ধর্ষিতা কিশোরীর আত্মহত্যা মামলার রায়ে ধর্ষকের ৪০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।
২০১২ সালের ৩০ জুন দুপুরে জয়পুরহাটের হরিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের কিশোরী কন্যা খাদিজা বেগম বাড়ির পাশে নিজেদের ক্ষেতে যায়। সেখানে মেয়েটিকে একা পেয়ে একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মাসুদ রানা তাকে জোর করে সেখান থেকে তুলে পার্শ্ববর্তী পাট ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। খাদিজার আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে মাসুদ রানা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার জেরে লোকলজ্জা ও অভিমানে ১ দিন পর ২ জুলাই খাদিজা নিজ শয়ন কক্ষে বিষ পানে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে খাদিজার বাবা হেলালুদ্দিন বাদী হয়ে পর দিন ৩ জুলাই জয়পুরহাট সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাসুদ রানাকে আসামি করে একটি মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী আজ বৃহস্পতিবার ধর্ষক মাসুদ রানাকে ৪০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই মাসুদ রানা এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
গ্রেফতারের পর থেকে সাজা কার্যকর হবে মর্মে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী।