একাধিক অভিযোগ রাজউক চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলমের বিরুদ্ধে
সাগর চৌধুরীঃ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলমের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এক সংসদ সদস্য (এমপি)। বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন।
সংসদ সদস্য হোসনে আরার অভিযোগ, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তিনি রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তরে গিয়েছিলেন। তিন ঘণ্টা তাকে বসিয়ে রেখেও চেয়ারম্যান যখন সাক্ষাৎ দেননি, তখন তিনি নিজেই চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশ করেন। চেয়ারম্যান তাকে বসতেও বলেননি। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ‘যান যান’ বলে তাড়িয়ে দেন।
কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মহিলা আসন-১৬ (জামালপুর-শেরপুর)-এর সংসদ সদস্য হোসনে আরা সমকালকে বলেন, রাজউক চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে গেলে চেয়ারম্যানের পিয়ন-পিএরাও আমাকে ধাক্কায়। একজন এমপির সঙ্গে যদি এ রকম আচরণ করে, তাহলে সাধারণ মানুষের রাজউকে কী অবস্থা চিন্তা করেন। চেয়ারম্যানের ব্যবহারও খুব খারাপ। পরে মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ দিয়েছি, দেখা যাক মন্ত্রী কী ব্যবস্থা নেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের কাছে পাঠানো অভিযোগপত্রে হোসনে আরা লেখেন, গত ৬ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তরে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশে যান। তবে চেয়ারম্যানের পিও এবং অন্যদের অসহযোগিতার কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা বাইরে অপেক্ষা করার পরও দেখা করতে না পারায় একপর্যায়ে নিজেই তার অফিসকক্ষে প্রবেশ করে পরিচয় দিয়ে কাজের কথা বলেন। কিন্তু তিনি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তাকে যান যান বলে অবজ্ঞা করেন এবং দাঁড়ানো অবস্থাতেই অভদ্র আচরণ করে চলে যাওয়ার জন্য বলতে থাকেন, যা একজন সংসদ সদস্যের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ।
এ ধরনের আচরণ চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও অসদাচরণের শামিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজউকের চেয়ারম্যানের দপ্তরে গেলেও দেখা দেননি তিনি। গণমাধ্যম কর্মিতের জানানো হয়, তিনি বোর্ডরুমে মিটিংয়ে আছেন। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করলেও তিনি দেখা করেন নি৷ মোবাইল ফোনে কল এবং এসএমএস দিলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়টি ইতিমধ্যে সংসদ সদস্য সহ সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে।
সচেতন মহল বলেন, রাজউক চেয়ারম্যানের রীতিমতো সংবিধান লঙ্গন করেছেন। কে করবে এর বিচার?