জাহালমের জেল খাটা ; নাম না থাকায় দুদকের প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট।

PicsArt_08-21-01.28.32.jpg

জাহালম জেল খাটা ; নাম না থাকায় দুদকের প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট।

আদালত প্রতিবেদকঃ ১৮ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের মামলার তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে দুদক। কারণ দর্শানো নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দাখিলে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে। কিন্তু নাম ও কি অভিযোগে এসব মামলা করা হয়েছে তা উল্লেখ না থাকায় দাখিলকৃত এই প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট।

আগামী বুধবার এসব তথ্য উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন।

আদালত বলেন, এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কি অভিযোগে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং তাদের নামের তালিকার কোন তথ্য এই প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে না। আমরা দেখতে চাই কর্মকর্তাদের কার দায় কতটুকু। কিন্তু কোন কিছুই প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই। এটা একটি অস্পষ্ট প্রতিবেদন। আদালত বলেন, সর্ষের মধ্যে ভূত থাকা উচিত নয়। সর্ষের মধ্যে সর্ষেই থাকতে হবে।

এর আগে দুদক কৌসুলি খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টে দুদকের দেয়া প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, অর্থ আত্মসাতের মামলায় ৬টি মামলা অধিকতর তদন্তাধীন রয়েছে। ২৭টি মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া জাহালম ও ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ব্যবহৃত আবু সালেকের ছবি সত্যায়িত করে এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তাধীন মামলাসমূহের সর্বশেষ অবস্থার তথ্য দাখিল করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। আদালত বলেন, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন তাদের তালিকা কোথায়? দুদক কৌসুলি বলেন, আপনারা তালিকা চাইলে দেয়া হবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের কৌসুলি অ্যাডভোকেট এম আসাদুজ্জামান বলেন, ব্যাংকের যারা জড়িত ছিল তাদেরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আদালত বলেন, ব্যাংকেরও তো দায় রয়েছে। আইনজীবী বলেন, ব্যাংকের দায় আসবে না।

জুলাই মাসে দুদকের এক রিপোর্টে বলা হয়, দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দায়সারা তদন্তে নিরপরাধ পাটকল শ্রমিক জাহলম ২৬ মামলার আসামি হন। দুদকের অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এই সত্যতা উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহলমকে আবু সালেক হিসেবে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে যে ভুল হয়েছে তা দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কারনেই ঘটেছে। আর তদন্তকারী কর্মকর্তাদেরকে ভুল পথে পরিচালিত করতে সহায়তা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং একাউন্টের ভুয়া ব্যক্তিকে পরিচয়দানকারীরা। তবে সঠিক ঘটনা তথা সত্য উদঘাটন করে আদালতের নিকট তা উপস্থাপন করাটা তদন্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top