সারাদেশে চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে হচ্ছে ডোপ টেস্ট নীতিমালা

Ban_Govt4.jpg

চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে হচ্ছে ডোপ টেস্ট নীতিমালা

বিশেষ প্রতিবেদকঃ সরকারি চাকরিতে প্রবেশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পরিবহন শ্রমিক এবং স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট করার বিষয়ে বিধিমালা তৈরি হচ্ছে। গতকাল সচিবালয়ে জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খান কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় নতুন চাকরিতে (সরকারি) যোগদানের সময়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পরিবহন শ্রমিক এবং স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। সেই আলোকে বিধিমালা তৈরি প্রক্রিয়াধীন বলেও সভায় জানানো হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সিপাহি, এসআই ও ইন্সপেক্টরদের মাদক নির্মূলে সহযোগিতার জন্য অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব একটি কমিটি করেন। কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেবে।

প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কুরিয়ার সার্ভিসে মালামাল পরিবহনের সময় প্রেরকের এনআইডি কপি ও ছবি সংরক্ষণ করতে পারবে সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দেশের পোর্টগুলোতে মাদক শনাক্তকরণের জন্য ডগ স্কোয়াড মোতায়েনের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক একটি ডগ স্কোয়াডের প্রকল্প তৈরি করবেন। পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এয়ারপোর্ট এবং ল্যান্ডপোর্টে ডগ স্কোয়াড দেওয়া হবে।

মাদক ব্যবসায়ীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য এবং তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাদক কারবারীদের গ্রেফতারের উদ্দেশে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) কার্যালয়ে মাদকদ্রব্যের একজন কর্মকর্তা অবস্থান করবেন।

মাদকের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাদকের কুফল প্রচারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হবে। টিভি ও বেতারে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। এছাড়া পাঠ্যপুস্তকে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করারও সিদ্ধান্ত হয়।

সারা দেশে মাদকের মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য প্রতি জেলায় বিশেষ এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত গঠনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধের সিদ্ধান্ত হয় সভায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top