অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে পুলিশ সদস্য আটক

বাগেরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে পুলিশ সদস্য আটক

বাগেরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ চার টুকরো করে গুম করার চেষ্টার সময় এক পুলিশ সদস্য আটক হয়েছেন।

জেলার পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বস্তাবন্দি লাশসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন এই কনস্টেবল।

নিহত জোছনা বেগম (৩৫) খুলনার রুপসা উপজেলার নারকেলি গ্রামের আবু বক্কর শেখের মেয়ে।

আটক সাদ্দাম হোসেন বাগেরহাটের শরণখোলা থানার নিয়ন্ত্রণে তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে তিনি।

পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, সাদ্দাম হোসেন এক বছর আগে শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে যোগ দেন। তার দুই স্ত্রী। ফাঁড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী জোছনা বেগমকে নিয়ে বাস করতেন সাদ্দাম। তারা প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ করতেন।

জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন সাদ্দাম। এরপর মাথা ও দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি স্ত্রীর গর্ভের বাচ্চা পেট কেটে বের করে মরদেহ গুম করতে বস্তাবন্দি করে রাখেন। পুলিশ গোপনে খবর পেয়ে মরদেহের বস্তাসহ সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে।

“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।”

এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের পর গত জানুয়ারিতে তাদের বিয়ে হয় বলে নিহত জোছনার বোন রেহানা বেগম জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top