হাটহাজারী মাদরাসার দায়িত্বে ৩ জ্যেষ্ঠ শিক্ষক
বিশেষ প্রতিবেদকঃ হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসা পরিচালনার জন্য তিনজনের একটি প্যানেলকে মুহতামিমের (পরিচালক) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
শনিবার রাতে এক বৈঠকে মাদরাসাটির শূরা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়।
তারা হলেন- মুফতী আবদুস সালাম চাটগামী, আল্লামা শেখ আহমদ, মাওলানা ইয়াহহিয়া। একইসঙ্গে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদরাসাটির প্রধান শায়খুল হাদিস ও নাজিমে তালিমাতের (শিক্ষা পরিচালক) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সহকারী শিক্ষাপরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে মাওলানা হাফেজ শোয়াইবকে।
শূরা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই তিনসদস্য বিশিষ্ট কমিটি মাদরাসার সকল কাজের সমস্যা সমাধান করবেন এবং সকলের সমান অধিকার থাকবে। কেউ এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।
মাদরাসায় ছাত্র আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের কক্ষ ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়ে আল্লামা শেখ আহমদ, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা ওমর, মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ, মুফতি জসিম উদ্দিনকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বৈঠকে। এছাড়া আন্দোলন চলাকালীন শূরার বৈঠকে আনাস ও নূরুল ইসলাম জাদীদের বহিষ্কারসহ যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাও বহাল রাখা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী হাফি, আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদী হাফি, আল্লামা নোমান ফয়েজী হাফি, মাওলানা সালাউদ্দীন নানূপুরী হাফি, মাওলানা সুহাইব সাহেব হাফি, মাওলানা ওমর ফারুক হাফিসহ জামিয়ার সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ।
শূরা কমিটি এই করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটহাজারী মাদরাসায় নিয়মতান্ত্রিক পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মাদরাসা খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহারের করার অনুরোধ জানানো হবে।
(১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
ছাত্র আন্দোলনের মুখে ১৯৮৬ সাল থেকে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করা আল্লামা শফী গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন।