চরফ্যাশন ফার্মেসীর দোকানে অভিযান; খবর পেয়ে মালিকেরা লাপাত্তা৷
মোঃ সিরাজুল ইসলামঃ ভোলা চরফ্যাশনে কিছুসংখ্যক ঔষধের দোকান মালিকদের ড্রাগ লাইসেন্স না থাকা, সিন্ডিকেট করে ক্রেতাদের নিকট ঔষধ বিক্রি, অখ্যাত, ভেজাল ও নিন্মমানের ঔষধ গায়ে লেখা মূল্যে কিনতে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব ৮ চরফ্যাশন ফার্মেসীগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছেন৷
অভিযানের খবর পেয়ে দোকান বন্ধ করে অন্যত্র চলে গেছেন ফার্মেসি মালিকরা৷
শনিবার (১৯সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় ভোলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ও র্যাব ৮ এর কোম্পানি কমান্ডার আবুল কালাম আজাদসহ একটি দল, চরফ্যাশন বাজারে ঔষধের দোকান গুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছেন৷
অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় প্রিন্স মেডিকেল হল কে ৪ হাজার, রুমা ড্রাগ ৫ হাজার, মামনি মেডিকেল হল ৩ হাজার জানকি মেডিকেল হল ৫ হাজার, সালমা মেডিকেল হল ৩ হাজার ও চাউলের আড়ত মিজান ফরাজী এন্ড সন্সকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে৷
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব ৮ চরফ্যাশন বাজার সদর রোড ফার্মেসীগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছে এমন খবর পেয়ে, জনতা রোড, মেইন রোড, গ্রীন রোড, সোনালী রোড, চাউল পট্টি, থানা রোড ও হাসপাতাল রোডের সকল ঔষধের দোকান মালিকরা ভয়ে দোকান বন্ধ করে অন্যত্র পালিয়ে যায়৷
উল্লেখ্য গতকাল (১৮সেপ্টেম্বর) পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে, ড্রাগ লাইসেন্স ব্যতীত অসংখ্য মালিক ঔষধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়৷ অধিকাংশ ফার্মেসিতে হরহামেশাই বিক্রি হচ্ছে আয়ুর্বেদিক, ভেজাল, নিম্নমানের বা নামসর্বস্ব কোম্পানির ঔষধ৷ এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আজ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব ৮ এ অভিযান পরিচালনা করেছেন৷ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে প্রশাসনের। নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকুক এটাই কাম্য সকলের।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল আমিন বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে৷ দোকান মালিকরা এমআরপি মূল্যে ঔষধ বিক্রি করবে না পার্সেন্টেজে কিছু ছাড় দিবে সেটা একমাত্র মালিকদের ব্যাপার৷ এখানে ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতির বাধ্যবাধকতা ঠিক নয়৷