বিক্রি বন্ধ রেখে বিক্ষোভ পেঁয়াজ আড়তদারদের
জেলা প্রতিনিধিঃ সারাদেশের মত চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালিয়েছিল জেলা প্রশাসন। আর সেই অভিযানের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পেঁয়াজের আড়তদাররা।
আজ সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে আড়তদাররা দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে দাম বাড়ায় খাতুনগঞ্জেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিদিন জরিমানা করছে। এভাবে যদি প্রতিদিন জরিমানা দিতে হয় তাহলে তারা ব্যবসা চালাতে পারবেন না।
আমদানিকারকদের ওপরই নির্ভর হতে হয় তাদের। আড়তদাররা মূলত কমিশনে ব্যবসা করেন। তাই আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে অভিযান না চালিয়ে শুধু খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করা অযৌক্তিক। অভিযান বন্ধের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখে আড়ত বন্ধ রাখার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে অভিযোগ রয়েছে, গত বছর ঠিক এই সময়েই ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিলে দেশের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে তখন লাগামহীনভাবে বেড়ে গিয়েছিল পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পরে লম্বা সময় দাম স্থিতিশীল থাকলেও আবার অস্থির হয়ে উঠতে শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজার। আর এর নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ছে আগের সেই সিন্ডিকেটই।
এরই মধ্যে গত ১৫ দিনে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম বেড়ে এখন দ্বিগুন হয়েছে। ১৮ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকায়।
এ অসাধু সিন্ডিকেট ভাঙতে গতকাল থেকে খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজির অভিযোগে ১০ আড়তদারকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আড়তদার ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— মেসার্স বরকত ভাণ্ডার ১০ হাজার, মেসার্স গোপাল বাণিজ্য ভাণ্ডার ১০ হাজার, মেসার্স হাজী মহিউদ্দিন সওদাগর ১০ হাজার, মেসার্স সেকান্দার অ্যান্ড সন্স ১০ হাজার, মোহাম্মাদীয়া বাণিজ্যালয় ১০ হাজার, মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন ১০ হাজার, গ্রামীণ বাণিজ্যালয় ৫ হাজার, আরাফাত ট্রেডার্স ৫ হাজার, মেসার্স বাগদারিক করপোরেশন ৫ হাজার ও শাহাদাত ট্রেডার্সকে ২ হাজার।