স্বচ্ছতা, আন্তরিকতা ও একাগ্রতার সাথে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
শ ম রেজাউল করিম
সাগর চৌধুরীঃ স্বচ্ছতা, আন্তরিকতা ও একাগ্রতার সাথে প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ বুধবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বর্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের জুন, ২০২০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মন্ত্রী এ বিষয়ে তাগিদ দেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদারসহ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আপনাদের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রত্যাশা করি। সকলকে নিজ নিজ দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ কারণে বুলবুল, আম্ফান, বৃষ্টি, বন্যা, কোভিড-১৯ এই ৫টি প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেও বিশ্বের কাছে এখনো বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আশা করি প্রত্যাশার জায়গা আপনারা পূরণ করবেন।”
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, “সরকারি অর্থ হিসেব করে যথাযথ বিধি-বিধান মেনে ব্যয় করতে হবে, যাতে একটি টাকাও অপচয় না হয়। কাজের ক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে প্রকল্প পরিচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।”
সভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বর্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১৯টি প্রকল্পের জুন, ২০২০ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। ১৯টি প্রকল্পে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ছিলো ৫ শত ৫০ কোটি ৫ লক্ষা টাকা। এর বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৪ শত ৮০ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জুন, ২০২০ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ৮৭.৩৭ শতাংশ।