৩৪টি অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের অনুমতি দিল সরকার
বিশেষ প্রতিবেদকঃ বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিবন্ধন শুরুর ঘোষণা দেন সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাংলা ট্রিবিউন, সংবাদ প্রতিদিন২৪ ডটকম, টাইম বাংলা নিউজ ডটকম, বিডি২৪ লাইভ ডটকম, ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডটকম, নিরাপদ নিউজ ডটকম, ইপি-বিডি ডটকম, দ্য মেইল বিডি ডটকম, ইউ ৭১ নিউজ ডটকম, কারেন্ট নিউজ ডটকম ডটবিডি, লেটেস্ট নিউজ বিডি ডটকম, সময়ের চিত্র ডটকম, বার্তা৭১ ডটকম, দ্য রিপোর্ট ২৪ ডটকম, নিউজ জার্নাল২৪ ডটকম, আওয়ার নিউজ বিডি ডটকম, ওমেনআই২৪ ডটকম, গ্রিনওয়াচ বিডি ডটকম, সিনিউজ ভয়েসডটকম, এবিনিউজ২৪ ডটকম, আওয়ার নিউজ২৪ ডটকম, বিডিলাইভ ২৪ ডটকম, বাংলাদেশ২৪ অনলাইন ডটকম, উত্তরণ বার্তা ডটকম, জাগো বার্তা ডটকম, হট নিউজ২৪ বিডি ডটকম, শেয়ার নিউজ২৪ ডটকম, জাগোনিউজ ডটকম, বার্তা বাজার ডটকম, রাইজিং বিডি ডটকম, ঢাকা ডিপ্লোমেট ডটকম, বিডি মর্নিং ডটকম, বিবার্তা ২৪ ডটনেট এবং জুম বাংলা ডটকম।
আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচিত এই নিউজ পোর্টালগুলোকে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে দুপুরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া। যেসব অনলাইন নিউজপোর্টালের পক্ষে সরকার নির্ধারিত সংস্থাগুলোর অনাপত্তি পাওয়া গেছে, সেগুলো প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি পাবে। বৃহস্পতিবার রাতে এ সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের ওয়েবসাইটে যে তালিকা আপলোড হবে, সেখানে অনেক প্রতিষ্ঠিত অনলাইনের নাম হয়তো দেখা যাবে না। তার কারণ এটি নয় যে তাদের ব্যাপারে রিপোর্ট নেগেটিভ। আসলে তাদের ব্যাপারে এখনও প্রতিবেদন না পৌঁছানোই এর কারণ। পরবর্তীতে অন্যান্য অনলাইন নিউজপোর্টালের ব্যাপারে অনাপত্তি প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোকে নিবন্ধনের অনুমতি দেওয়া হবে। তাই এ বিষয়ে কোনও উদ্বেগের কারণ নেই, কারও নাম বাদ পড়লেও হতাশ হওয়ার কারণ নেই। কারণ, সাড়ে ৩ হাজারের মধ্যে মাত্র কিছু নাম আজ আপলোড হবে। এটি চলমান প্রক্রিয়া।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবার আগে সংবাদ পরিবেশনের প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অনেক সময় ভুল ও অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হয়। একইসঙ্গে আমরা দেখতে পেয়েছি বিভিন্ন সময় কিছু অনলাইন পোর্টাল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব ছড়ানো, চরিত্র হনন এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার কাজে লিপ্ত হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত করা হয়েছে। যারা ইতোপূর্বে এগুলো করেছেন, তাদের ব্যাপারে সেই ধরনের রিপোর্টই আসছে। যেগুলোর ব্যাপারে নেগেটিভ রিপোর্ট আছে, সেগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অনলাইনগুলো রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছি।’
এই অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে মানুষের হাতে হাতে সংবাদ পৌঁছানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু ডাটা খরচ করে অথবা ডাটা খরচ না করে যেখানে ওয়াইফাই আছে, সেখানে মানুষ সংবাদ পাচ্ছে। এটি একটি বড় ইতিবাচক দিক। এই ইতিবাচক দিকটা আমরা দেশ ও সমাজ গঠনে, সমাজের মনন তৈরিতে ও নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সঠিকভাবে তৈরি করার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারি। সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে।’
সব অনলাইন পোর্টাল সম্মিলিতভাবে দেশ গঠনের কাজ করবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এর আগে ভুল পথে হেঁটেছেন, তারা নিজেদের সংশোধন করে নেবেন, এটিই আমাদের প্রত্যাশা, জাতির প্রত্যাশা।’
সচিবালয়ের ওই বৈঠকে তথ্য সচিব কামরুন নাহার, যুগ্ম সচিব এস এম মাহফুজুল হক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।