আদালতে মামলাজট (পর্ব ২)ঃ পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে নিরসন সম্ভব

PicsArt_07-27-01.28.05.jpg

আদালতে মামলাজট (পর্ব ২)ঃ পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে নিরসন সম্ভব

গত পর্বের আলোচনার পর অনেকেই লেখাটি পছন্দ করেছেন এবং অনেকেই মূল্যবান মন্তব্য করেছেন। তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কমেন্ট গুলো ভবিষ্যতে সমন্বিত সুপারিশ প্রণয়নে কাজে লাগবে।

বিচারক সংখ্যার এই অপ্রতুলতা নিরসনের জন্য শুধু বিচারক নিয়োগ দিলেই হবে না। কতজন বিচারক নিয়োগ করা প্রয়োজন তা গভীরভাবে পর্যালোচনা করে দেখা দরকার। কেননা বর্তমান অরগানোগ্রামে বিদ্যমান পদের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগের সুযোগে নেই। আর মামলাজট নিরসনের জন্য অনেক বড় পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে হবে। সেই পরিকল্পনার মধ্যে থাকতে হবে জেলা ভিত্তিক মামলার সংখ্যা, মামলা দায়েরের হার, মামলার প্রকৃতি ইত্যাদি।

পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য থাকবে আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে মামলাজট শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা, ১০ বছরের মধ্যে এমন ব্যবস্থা প্রণয়ন করা যাতে মামলা দায়েরের এক বছরের মধ্যে তা নিষ্পত্তি হয় এবং ১৫-২০ বছরের মধ্যে এমন একটি বিচার ব্যবস্থার সৃষ্টি করা যাতে মামলা দায়েরের ২/৩ মাস বড়জোর ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি হবে, খুব অল্প খরচ হবে এবং আদালত সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে এক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করবে।

কি স্বপ্ন মনে হচ্ছে? স্বপ্ন দেখতে পারলেই তো তা একদিন বাস্তব হয়। আর এটা শুধু আমাদের স্বপ্ন নয়, এর পিছনে পরিকল্পনা আছে আর আছে বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা। এই পরিকল্পনা ও সুপারিশ আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করবো। প্রথমে সমস্যাগুলো বিষয়ে আলোচনা করা যাক।

এই যে অরগ্যানোগ্রামের কথা বললাম, তা যে কতটা ত্রুটিপূর্ণ এবং তা কিভাবে মামলাজট সৃষ্টি করছে তা এবার বর্ণনা করা হলো।

সমস্যা -২

বিচারক পদের ত্রুটিপূর্ণ পদবিন্যাস ও মামলার অসম বন্টন

আমাদের বর্তমান দেওয়ানি আদালতের অরগ্যানোগ্রাম ৩৭ বছর আগে উপজেলা পদ্ধতি সৃষ্টির সময়কার। তখন এক সাথে ৬০ টি জেলা ও ৪৬০ টি উপজেলা সৃষ্টি করা হয়। নতুন জেলাগুলোতে একজন জেলা জজ, একজন সাবজজ ও একজন মুন্সেফ এবং উপজেলাগুলোতে একজন মুন্সেফ নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু সব জেলা ও উপজেলার আয়তন, জনসংখ্যা, মামলা সংখ্যা ও মামলার প্রকৃতি এক ছিল না।
চলবে….

ড.এ.বিএম মাহমুদুল হক
জেলা ও দায়রা জজ, ভোলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top