স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিকে গ্রেপ্তার করা হবে!

PicsArt_07-21-10.35.46.jpg

শিগগিরই স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি গ্রেপ্তার!

বিশেষ প্রতিনিধিঃ সমস্ত সরকারি আইনকানুন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই রিজেন্ট হাসপাতালকে মেশিনপত্র সরবরাহ করেছিলো অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। সেখানে রিজেন্ট হাসপাতালের মতো একটি বেসরকারি হাসপাতালকে সিএমএসডি থেকে কিভাবে দামী মেশিনপত্র সরবরাহ করা হলো সেটি একটি বিস্ময় বলে মনে করছে সংস্থাটি।

শাহেদ কেলেঙ্কারি, রিজেন্ট হাসপাতালকে মেশিনপত্র সরবরাহ, জেকেজি কেলেঙ্কারিসহ নানা দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হতে পারেন স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ। ইতিমধ্যে তিনি যাতে দেশত্যাগ না করতে পারেন সেজন্য নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আবুল কালাম আজাদ দুর্নীতির দায় এড়ানোর জন্যই পদত্যাগ করেছেন। তিনি বিদেশ চলে যেতে পারেন এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তার দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি বলছে, আবুল কালাম আজাদ দুর্নীতির দায় এড়ানোর জন্যই পদত্যাগ করেছেন। তিনি বিদেশ চলে যেতে পারেন এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তার দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এরমধ্যেই অভিযোগগুলো থেকে দায় এড়াতে স্বপক্ষে বিভিন্ন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে খুব শিগগিরই আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে ডাকা হবে বলে দুদকের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

করোনা সঙ্কটের শুরু থেকেই ডা. আবুল কালাম আজাদ বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং একের পর এক বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জনমনে বিরক্তির কারণ তৈরি করেন।

পরবর্তীতে দেখা যায়, বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির দায় সাবেক স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক কিছুতেই এড়াতে পারেন না। এই চুক্তিটি একটি দুর্নীতি এবং এ ব্যাপারে সাবেক মহাপরিচালকের সংশ্লিষ্টতা কতটুকু ছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, সমস্ত সরকারি আইনকানুন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই রিজেন্ট হাসপাতালকে মেশিনপত্র সরবরাহ করেছিলো অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। সেখানে রিজেন্ট হাসপাতালের মতো একটি বেসরকারি হাসপাতালকে সিএমএসডি থেকে কিভাবে দামী মেশিনপত্র সরবরাহ করা হলো সেটি একটি বিস্ময় বলে মনে করছে সংস্থাটি। এছাড়াও জেকেজি’র সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক হওয়া মহাপরিচালকের সম্পর্ক কী এবং কেন তিনি জেকেজিকে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিলেন এই নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। জেকেজি’র ব্যাপারে যখন অভিযোগ করা হয়েছিল তখনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নির্লিপ্ত থেকেছিলেন।

তবে দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যে অভিযোগ উঠেছে সেটা তার দায়িত্বহীনতাই হোক, অযোগ্যতাই হোক বা অজ্ঞাতেই হোক না কেন তা অবশ্যই অন্যায় এবং এটা অনুসন্ধানে যদি দেখা যায় যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের এখানে ইচ্ছাকৃত সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top