করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় – ড. এ.বিএম মাহমুদুল হক

PicsArt_07-01-11.41.41.jpg

করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় – ড. এ.বিএম মাহমুদুল হক

“করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়। দীর্ঘ ১০ দিন হাসপাতালে আর মোট ২১ দিনের যুদ্ধ শেষে কাল ২য় স্যম্পল নেগেটিভ আসায় আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছি।

অনেকেই অল্পতেই সুস্থ হয়েছেন আবার অনেকে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন। প্রথম যখন লক্ষ্মণ প্রকাশ পায় তখন ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক করোনা উপসর্গের সব রকম চিকিৎসা নিই কিন্তু কাশি ভালো হচ্ছিল না।

যুদ্ধ চলছিলো আমার এন্টিবডি আর লক্ষকোটি করোনাভাইরাস জীবানুর সাথে। তারপর থেকে শুরু হলো শ্বাসকষ্ট। মহান আল্লাহ তালার রহমতে আর মাননীয় আইন মন্ত্রী মহোদয়, সচিব মহোদয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মহোদয়, ভোলা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব মহোদয়, শ্রদ্ধেয় বিকাশ স্যার সহ বিচার বিভাগীয় এসোসিয়েশন কর্মকর্তা, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মহোদয় সহ ভোলার সম্মানিত ডিসি, সিভিল সার্জন সিজেএম সানাউল্লাহ সহ সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যে আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে আনা সম্ভব হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

ঢাকা ইউনিভার্সাল হাসপাতালে আইসিইউতে ৭ দিন ও কেবিন এ ৩ দিন তারা যে সেবা আমাকে দিয়েছে তা অতুলনীয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার এই সংকটাপন্ন মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতিগণ, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, কর্মচারী, আমার আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব ও সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে আমার রোগমুক্তির জন্য সর্বদা দোয়া করেছেন কোনো কিছুর বিনিময়ে এ ঋণ কখনো শোধ হবে না।

আমি অবনত মস্তকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।” ফেইসবুকে লিখেন ভোলার জেলা জজ।

উলেখ্য, ভোলা জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ ড. এ.বিএম মাহমুদুল হক অনেকটা সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন এমনই তথ্য জানান মধ্যরাতে এই প্রতিবেদক সাগর চৌধুরীকে।

গত শুক্রবার তার covid-19 এর প্রথম রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ এবিএম মাহমুদুল হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।

গত রোববার রাত ৯ টায় তেজগাঁওয়ে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার-এ হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

সেখান থেকে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে এবিএম মাহমুদুল হককে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) নেয়া হয়েছে বলে জানায় আইএসপিআর।

এর আগে আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, এবিএম মাহমুদুল হকের শারীরিক অবস্থার অবনতির বিষয়টি আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে জানানো হলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলে তাকে দ্রুত ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করেন।

রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেলে তার চিকিৎসা করা হবে। তিনি গত ১২ জুন থেকে করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন এবং ভোলার নিজ বাসা থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

বিশেষভাবে দ্রষ্টব্য যে, ভোলা জেলার সাবেক জেলা জজ ফেরদৌস আহমেদ,করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ভোলা জেলার জেলা জজ থেকে বদলি হয়ে তিনি লালমনিরহাট নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top