কিছু মানুষ ক্ষণজন্মা, কিছু মানুষ আলোকবর্তিকা, কিছু মানুষ কেবল যাপনের জন্য – শাহানা সিরাজী

PicsArt_06-30-09.50.43.jpg

কিছু মানুষ ক্ষণজন্মা, কিছু মানুষ আলোকবর্তিকা, কিছু মানুষ কেবল যাপনের জন্য – শাহানা সিরাজী

কর্মের কোলাহলে ডুবে থাকা মানুষ সমাজের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য কাম্য। কর্মের সাথে যদি ব্যক্তিগত জৌলুস জমজমাট বাসা বাঁধে তবে সে মানুষ হয়ে ওঠে অনন্য।
যার জন্য লিখছি তিনি এমনই এক মানুষ যিনি কর্ম এবং যজ্ঞ দুটো মিলেই কর্মযজ্ঞের অগ্নিসারথী। যার কথা শুনলেই অকারণেই মন ভালো হয়ে যায়। যার উপস্থিতি সংসারের নগন্যমানুষ` কাজের মানুষ’টির কাছেও নির্ভরতার,বিশ্বাসের,আনন্দের। যিনি প্রাণপণে সবাইকে ভালো রাখার চেষ্টায় মশগুল থাকেন। যিনি যারপরনাই সামাজিক।

মিজানুর রহমান , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অবসর প্রাপ্ত সচিব ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা । তাঁর বাবা মরহুম মোঃ ছাহেব আলী, যিনি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। মাতা মরহুমা মালেকা খাতুন (শান্তি) যিনি ছিলেন নিপুণ গৃহিণী , মায়া মমতায় সংসারের সবাইকে জড়িয়ে রাখতেন। ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার উলচা পাড়া প্রামে উনিশ’শ বায়ান্ন সালের ত্রিশ জুন মাসে এই দম্পতির কোল আলোক করে জন্ম নেন তাঁদের বড়ো সন্তান। পিতামাতা নাম রাখেব মিজানুর রহমান। যিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিব হয়ে কর্ম জীবন সমাপন করেন।

একজন আলোকিত ও দরদী মানুষ, দেশের ক্রান্তিকালেও যিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান এসএসসি- অন্নদা সরকারি হাই স্কুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ১৯৬৭ খ্রি.এইচএসসি- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ১৯৬৯ খ্রি. বিএ (অনার্স) রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- ১৯৭৩ খ্রি. এমএ, লোক প্রশাসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- ১৯৭৫ খ্রি.এলএলবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- ১৯৭৭ খ্রি. প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি তুখোড় রাজনীতিবিদ ছিলেন। ১৯৬৮ সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য,১৬৬৯-৭০ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। ১৯৭২ সনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। ১৯৭৩-৭৪ সনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক। ১৯৭৬-৭৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসাবে তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন।

১৯৭৫ সনের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ১৯৭৫ পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে অতি সংগোপনে লিফলেট তৈরি ও বিতরণ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে পুনর্গঠন ও সংগঠিত করার কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। ২৬.১২.১৯৭৬ খ্রি. তারিখে বিশেষ ক্ষমতা আইনে রমনা থানা পুলিশ কর্তৃক ১৫২৭ নং মামলায় গ্রেফতার ও হাজতবাস। পরবর্তীকালে মামলা হতে অব্যাহতি প্রাপ্ত হন। বর্তমানেও তিনি সক্রিয় আওয়ামীলীগ।

বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮২ সনের নিয়মিত ব্যাচের সদস্য হিসাবে ০৮-১২-১৯৮৩ খ্রি. তারিখে চাকরিতে যোগদান। (চাকরিতে যোগদানের ধারণাগত জ্যেষ্ঠতার তারিখ ০২-০৪-১৯৮৩ খ্রি.)পরিচিতি নং- ১৯৬৯।
সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা (১১.১২.১৯৮৩ – ০৬.০৮.১৯৮৬ খ্রি.)ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম শ্রেণী, ডিআইটি (রাজউক), ঢাকা (০৭.০৮.১৯৮৬ – ০৯.০৩.১৯৮৭ খ্রি.)।৩.সহকারী পরিচালক, স্থানীয় সরকার (সচিব, জেলা পরিষদ), ঢাকা (১০.০৩.১৯৮৭ – ১৪.০১.১৯৮৯ খ্রি.)।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গাজীপুর সদর, গাজীপুর (১৭.০১.১৯৮৯ – ০৯.০৭.১৯৮৯ খ্রি.)।উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা (১০.০৭.১৯৮৯ – ১৫.০১.১৯৯১ খ্রি.)।আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা (১২.০৩.১৯৯১ – ২৪.১১.১৯৯৪ খ্রি.)। উপ-প্রশাসক, বাংলাদেশ ওয়াক্ফ এস্টেট, ঢাকা (২৪.১১.১৯৯৪ – ০২.১০.১৯৯৫ খ্রি.)। বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (০২.১০.১৯৯৫ – ২১.০৭.১৯৯৬ খ্রি.)। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা (২১.০৭.১৯৯৬ – ২০.০৯.১৯৯৯ খ্রি.)। উপ-প্রকল্প পরিচালক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ (২১.০৯.১৯৯৯ – ১২.০৬.২০০০ খ্রি.)।.সচিব, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), ঢাকা (১৩.০৬.২০০০ – ২৭.০৩.২০০১ খ্রি.)।* ১৫.০১.২০০১ খ্রি. তারিখে উপ-সচিব হিসাবে যোগদান। জেলা প্রশাসক, টাংগাইল (২৮.০৩.২০০১ – ২৭.০৭.২০০১ খ্রি.)। সচিব, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা (২১.০৮.২০০১ – ১৭.০১.২০০২ খ্রি.)। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, সিলেট (২১.০১.২০০২ – ০৪.১২.২০০৬ খ্রি.)।
* ০৪.১২.২০০৬ খ্রি. তারিখে যুগ্ম-সচিব হিসাবে যোগদান। যুগ্ম-সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ (০৭.১২.২০০৬ – ২৭.০১.২০০৯ খ্রি.)।অতিরিক্ত সচিব (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (২৭.০১.২০০৯ – ১০.০৫.২০০৯ খ্রি.)।
* ২৭.০১.২০০৯ খ্রি. তারিখে অতিরিক্ত সচিব হিসাবে যোগদান। চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন (১০.০৫.২০০৯ – ২৮.০৬.২০০৯ খ্রি.)।ভারপ্রাপ্ত সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (১৯.১০.২০১০ – ২৮.০৬.২০১১ খ্রি.)।* ১৯.১০.২০১০ খ্রি. তারিখে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসাবে যোগদান।সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (১০.০৭.২০১১ – ০৪.০৯.২০১২ খ্রি.)।* ২৮.০৬.২০১১ খ্রি. তারিখে সচিব হিসাবে যোগদান করেন।

দেশে চাকরিকালীন প্রশিক্ষণেও চাকুরিবিধানুযায়ি অংশগ্রহন করেন।

১.ভূমি জরিপ প্রশিক্ষণ, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, ঢাকা (০৮-০১-১৯৮৪ – ০৪-০৩-১৯৮৪ খ্রিঃ)।
২.মিলিটারি ট্রেনিং, বি এম এ, চট্টগ্রাম (১৫-০৪-৮৪ – ১০-০৫-৮৪ খ্রিঃ)।
৩.বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, পি এ টি সি, সাভার, ঢাকা (১৫-০৭-৮৪ – ১৪-১১-৮৪ খ্রিঃ)।
৪.ট্রেজারি প্রশিক্ষণ, ঢাকা কালেক্টরেট (২৫-১১-৮৪ – ০৭-০১-৮৫ খ্রিঃ)।
৫.সংক্ষিপ্ত আইন কোর্স প্রশিক্ষণ, আর পি এ টি সি, ঢাকা (১০-০৩-৮৬ – ০৪-০৫-৮৬ খ্রিঃ)।
৬. ভূমি ব্যবস্থাপনা (সংক্ষিপ্ত কোর্স),ভূমি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ঢাকা (১৭-০৮-৯৬ – ২২-০৮-৮৬ খ্রিঃ)।
৭.মাইক্রোকম্পিউটিং এপ্লিকেশনস্ ইন এডমিনিস্ট্রেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট, বিয়াম ফাউন্ডেশন, ঢাকা (২৫-০৭-৯৬- ০৫-০৯-৯৬খ্রিঃ)।
বিদেশ ভ্রমণ ও প্রশিক্ষণের বিবরণঃ

১.Urban Management Programme Meeting (South Asia), ,ভারত, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব লোকাল গভর্ণমেন্ট,মুম্বাই, (১৮-১৯ অক্টোবর, ২০০১)।
২. Study visit on Waste Management,ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়া, (২৬-৩০ আগস্ট, ২০০৭) ।
৩. Committee on Strengthening Local Government Institutions , ভারত, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালা,২১-৩০ নভেম্বর, ২০০৭।
৪. Study Tour in Beijing and Shandong, China(২৩-৩০ ডিসেম্বর, ২০০৭ খ্রিঃ)।
৫. Workshop on Inter City Sharing of Urban Sanitation Approaches থাইল্যান্ড, (২১-২৪ এপ্রিল, ২০০৮)।
৬. Study Tour on Water Management System & Local Government Institution দক্ষিণ আফ্রিকা,০৯-১৬ জুন, ২০০৮।
৭. Training Course on Project Management and Application of IT, মালয়েশিয়া ও সিংগাপুর, ০৪-১৭ আগস্ট, ২০০৮।
৮. International Training Course on Urban Drainage & Solid Waste Management,,অস্ট্রেলিয়া,
০১-১২ নভেম্বর,২০০৮।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সংগঠিত করার কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত পূর্বাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত ছাত্র নেতৃবৃন্দের যুদ্ধকালীন ক্যাম্পে সহকারী ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন এবং বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (মুজিব বাহিনী) এর রিক্রুটমেন্ট, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের জন্য ভারতের আগরতলায় সেনা ক্যাম্পে সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং – ১৬০৮৯৭, তারিখ – ১৯.১০.২০১০ খ্রি.,

বাংলাদেশ গেজেট নং – ১৬০৮৭, তারিখ – ০৯.০৬.২০১১ খ্রি.,
লাল মুক্তিবার্তা নং – ০২১২০১০৭৬৩ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক ইস্যুকৃত ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিস্বাক্ষরিত

সনদ নং-৪৬৮১৪,তারিখ- ১২.০৭.২০০১ খ্রি.। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহ্ণ করতে পেরে তিনি গর্বিত। মিজানুর রহমান একজন কর্মচঞ্চল মানুষ। অলসতাকে তিনি মনে প্রানে ঘৃণা করেন। বিভিন্ন সঙ্গগঠনের সাথে যুক্ত থেকে জীবনের গতিকে তিনি সচল রেখেছেন। বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা তারি প্রমান করে।
তিনি বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি হিসাবে পর পর ৩ (তিন) মেয়াদে দায়িত্ব পালন। বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতিসহ অন্যান্য পদে বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন।বিসিএস-৮২ ফোরামের সভাপতি (বর্তমানে ৮ম মেয়াদে দায়িত্ব পালন)।
অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা এর প্রশাসনিক ও আপ্যায়ন কমিটির সভাপতি হিসাবে পর পর ৩ (তিন) মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। বিয়াম ফাউন্ডেশন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সতীর্থ উনসত্তর এর সাধারণ সম্পাদক।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য।মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আজীবন সদস্য।মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা।অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির আজীবন সদস্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলাধীন মালেকা ছাহেব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি।নাজমা রহমান কিন্ডার গার্টেন, উলচাপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর প্রতিষ্ঠাতা।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলাধীন উলচাপাড়া সাহিত্য সংসদ ও পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলাধীন মালেকা ছাহেব আলী মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স এর প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালনা কমিটির সভাপতি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলাধীন উলচাপাড়া বাজার জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি।সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন সংগীতাংগণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর আজীবন সদস্য।ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য।ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরীর আজীবন সদস্য।ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসারে চার মেয়াদে দায়িত্ব পালন।ঢাকাস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা কল্যাণ সমিতির আজীবন সদস্য ও উপদেষ্টা।সিলেটে চাকরিকালে সিলেটস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসাবে পর পর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন।স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-সচিব হিসাবে দায়িত্বপালনকালে সরকার কর্তৃক জাতীয় পর্যায়ে গঠিত স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন।
পেশাগত জীবনে অষ্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, সিংগাপুর ও ভারত সফরের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করে পেশাগত দক্ষতা অর্জন।

এতো দায়িত্ব যিনি পালন করেন তাঁর অর্জন অনেক বেশী।মানুষের প্রানের কাছে থাকা মানুষের প্রয়োজনে নিজকে বিলিয়ে দেয়ার মত অপার আনন্দ রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।সামাজিক কার্যক্রম ও জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য ১৯৯৮ সালে অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণ পদক লাভ করেন।দক্ষ প্রশাসক ও মানবকল্যাণে বিশেষ ভূমিকার জন্য ২০১০ সালে শ্রী শ্রী চৈতন্য সম্মাননা পদক লাভ। ২০১১ সালে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস গবেষণা ফাউন্ডেশন কর্তৃক স্বাধীনতা সম্মাননা পুরস্কার লাভ।
ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। স্ত্রী নাজমা রহমান একজন আদর্শ সুগৃহিণী। পুত্র আশিকুর রহমান মিশু, কন্যা আনিকা রহমান শমি ও কন্যা মুনিয়া রহমান চাঁদনি সকলেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এবং বিবাহিত।

মুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত সচিব মিজানুর রহমান একজন দক্ষ প্রশাসকই শুধু নন তিনি একজন দক্ষ সংগঠকও। মানুষের কল্যাণই তাঁর জীবনের লক্ষ্য। পিতৃস্নেহে যেমন বাবাকূলের মাঝে অন্যন্য তেমনি অভিভাভক হিসেবেও ভাই-বোন আত্মিয়-স্বজন সকলের মাঝে সমাদৃত।কর্তব্য পালনে একনিষ্ঠ। সদা প্রাঞ্জল এ মানুষটি যে কোন অনুষ্ঠানের যে কোন আসরের কেন্দ্রবিন্দু হতে মোটেই সময় লাগে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শুধু নন তিনি সমগ্র দেশের একজন কৃতিসন্তান।
আজ তাঁর জন্মদিন। তাঁকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা। করোনাদুর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকুন। আপনার সর্বাঙ্গীন মঙল কামনা করি।

যে জীবন মানুষের সে জীবন সুরভিত, আহরিত
যে জীবন কেবল মাত্র প্রাণীর সে জীবন যাপনের…

শাহানা সিরাজী
ইন্সট্রাক্টর, পিটি আই মুন্সিগঞ্জ
কবি ও কথা সাহিত্যিক ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top