এবার বরখাস্ত হলেন এক পৌর কাউন্সিলর সহ ৩ জন
স্টাফ রিপোর্টার : ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে এক পৌর কাউন্সিলর, এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ১ ইউপি সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০এপ্রিল) স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এ নিয়ে মোট ৪২ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
তাদের মধ্যে ১৭ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ২৩ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং একজন পৌরসভার কাউন্সিলর।
আজ সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃতরা হলেন- রাজশাহী জেলার চারঘাট পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজু আহম্মেদ, ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার মনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমানত উল্লাহ আলমগীর এবং ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার মানকোন ইউপি’র ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাজমিন আক্তার লাভলী।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, চারঘাট পৌরসভার কাউন্সিলর রাজু আহম্মেদের বিরুদ্ধে চাল ওজনে কম দেয়া এবং তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে চাল না দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তার এরুপ অপরাধমূলক কার্যক্রম পৌরপরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১(১) অনুযায়ী তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
পৃথক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ভোলা জেলার মনপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আমানত উল্লাহ আলমগীরের বিরুদ্ধে মৎস্য ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এবং ময়মনসিংহ জেলার মানকোন ইউপি’র সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাজমিন আক্তার লাভলীর বিরুদ্ধে ত্রাণ প্রদানের আশ্বাস দিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট হতে চাঁদা আদায় করার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ মূলক কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
একইসময় ৩ জনকেই পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।