নুরের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ঢাবির সাদা দল শিক্ষকদের নিন্দা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ ডাকসু ভবনে ঢুকে ভিপি নুরুল হক নুর ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের শিক্ষকরা।
রবিবার সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হচ্ছে গণতন্ত্রের সুতিকাগার, মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও লালনের কেন্দ্র। এখানে ছাত্র-শিক্ষকসহ সকল ছাত্র সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করবে, কার্যক্রম চালাবে এটাই প্রত্যাশিত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যও বটে।
কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে জাতীয় রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে যেমন ধ্বংস করা হয়েছে, তেমনি প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট করে একটি কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ কায়েম করা হয়েছে।
তারা বলেন, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমর্থক ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং তাদের সমর্থিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নিজেদের একক আধিপত্য বজায় রাখতে প্রতিনিয়তই ভিন্নমতের রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ছাত্রদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে।
ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার নেতৃত্বাধীন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর এই হামলা ছাত্রলীগের ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরই বহিঃপ্রকাশ।
সাদা দলের শিক্ষকরা আরও বলেন, ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের নয়, বরং দল-মত নির্বিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
তাই সকল শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনের নিরাপত্তা, তাদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও কর্মকা-পরিচালনার পরিবেশ নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। কিন্তু আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না।
এমনকি একটি বিশেষ ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের প্রতি এক ধরণের পরোক্ষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সামপ্রতিক সময়ে ছাত্রলীগ দ্বারা বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন পরিবেশ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তারা এই ন্যাক্কারজনক হামলায় জড়িত ও চিহ্নিত ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একই সাথে বিশ্ববিদ্যলয়ে যেন সকল দল-মতের শিক্ষার্থী ও সংগঠন নির্বিঘ্নে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারে, সে পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্যও কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান। বিবৃতিতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক স্বাক্ষর করেন।