শুদ্ধাচার বিকাশে “সততা স্টোর” এবং “সততা সংঘ” হতে পারে অনুকরণীয় প্রক্রিয়া

PicsArt_10-31-07.33.26.jpg

শুদ্ধাচার বিকাশে “সততা স্টোর” এবং “সততা সংঘ” হতে পারে অনুকরণীয় প্রক্রিয়া

সাগর চৌধুরীঃ আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে কাইট বাংলাদেশ, গুণীজন ফাউন্ডেশন এবং সিএলপি এর একটি প্রতিনিধি দল কমিশন সৃষ্ট “সততা সংঘ ” ও “সততা স্টোর” এর কার্যক্রমকে বিনোদনমূলক তথ্যচিত্রের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটালি প্রচারের জন্য নির্মিত তথ্য চিত্র কমিশনের সামনে উপস্থাপন করেন।

এসময় কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, বিনোদনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয়, এমন তথ্য প্রচার করতে কমিশন গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা নিচ্ছে। কমিশন যেসব বিদ্যালয়ে সততা সংঘ গঠন করেছে (প্রায় ২৮ হাজার) এমন প্রতিটি বিদ্যালয়ে সাংবাৎসরিক ভিত্তিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বছরে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সাড়ে চার হাজার টাকা করে দিচ্ছে। কমিশন সীমিত সাধ্য নিয়ে তরুণদের নৈতিক মূল্যবোধ আরো বিকশিত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে এবং এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। তবে কমিশনের এসব কার্যক্রম মনিটরিং ব্যবস্থাপনায় কিছুটা ঘাটতি রয়েছে।

এসময় কমিশনের প্রতিরোধ অনুবিভাগকে এ কার্যক্রম ডিজিটালি মনিটরিংয়ের জন্য টুলস-টেকনিক কমিশনে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন দুদক চেয়ারম্যন।

তিনি বলেন, নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিনির্মাণে সমন্বিত এবং সুসংগঠিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রয়োজন। এসব কর্মপ্রক্রিয়ায় জিও-এনজিও-গণমাধ্যম-সুশীল সমাজসহ সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সকলের আকাক্সক্ষা হতে হবে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সৃষ্টি করা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে অবশ্যই নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি বিনির্মাণ করতে পারবো। আমরা আশাবাদী কারণ দেশের প্রায় ৩৬০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর গঠন করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনে সততা স্টোরের আয়-ব্যয় নিয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যেন সততা ও নৈতিকতার রোল মডেল হয়ে উঠছে।

শুদ্ধাচার বিকাশে “সততা স্টোর” এবং “সততা সংঘ” হতে পারে অনুকরণীয় প্রক্রিয়া।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড.মোঃ মোজাম্মেল হক খান, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, মহাপরিচালক(প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ, মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আইসিটি) একেএম সোহেল, কাইট বাংলাদেশের প্রতিনিধি এটিএম কামরুজ্জামান প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top