ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন – তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য বেশি হুমকিস্বরূপ ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে তামাকজাত নব্যপণ্য ব্যবহার রোধে আয়োজিত ‘ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট ও বাংলাদেশ: বর্তমান প্রেক্ষাপটে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত জাতি গঠনে জাতির স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর স্বাস্থ্যরক্ষায় তামাক ও তামাকজাত পণ্য বর্জনের বিকল্প নেই। ই-সিগারেট আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের কারণে তরুণ প্রজন্মের এর শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেশি, যা জাতির জন্য সমূহ ক্ষতির কারণ হতে পারে।
অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এটি নিষিদ্ধ করেছে। এ দেশে এটি বন্ধের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। প্রদর্শিত উপাত্ত অনুযায়ী, ২০১৭ সালে দেশে ই-সিগারেট ব্যবহারীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ, যা এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জনসচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর হবে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংস্থা ইউনাইটেড ফোরাম অ্যাগেইনস্ট টোব্যাকোর মহাসচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব খন্দকার আবদুল আউয়াল রিজভী, এপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী।