দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে শোকসভা
সাগর চৌধুরীঃ রবিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের অকাল প্রয়াত চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বক্তব্য রাখেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ
এ সময় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, মানুষের মৃত্যু অবধারিত, তবে তা মেনে নেওয়া কঠিন। প্রতিটি মৃত্যুই আমাদের কিছু শিক্ষা দেয়। কীভাবে দুদকের এসব কর্মকর্তারা সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন আজ তা শুনছি। কীভাবে তারা নিজের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আত্মত্যাগ করেছেন। আসুন, আমরা সবাই তাদের মতো সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাজ করি।
তিনি বলেন অনেকের ধারণা রয়েছে , দুদকে যারা চাকরি করেন-তাদের অনেকের যথেষ্ট টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি রয়েছে । কিন্ত আজ আমরা জানছি যে, আমাদের মরহুম পরিচালক আবু সাঈদ এবং সহকারী পরিচালক সরদার মঞ্জুর আহম্মদ এর কোনো অর্থ-বিত্ত বাড়ি-গাড়ি নেই। ওদের সততার কাছে অনেকের ধারাণা পরাজিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীই সততার সঙ্গে জীবন যাপন করছেন। দুদকে তদবির নিয়ে অনেক কথা ছিল। আমি দৃঢ়ভাবেই বলতে পারি আপনাদের সকলের সহযোগিতায় বিগত সাড়ে তিন বছরে দুদকের তদবির বাণিজ্য শুণ্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। দুদকে এখন আর তদবিবর বাণিজ্য নেই। কেউ তদবির করতে সাহসও পান না।
তিনি বলেন, দুদকের কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব প্রশংসার যোগ্য। এখানে কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, নেই কোনো রাজনীতি।
তিনি বলেন, আজ যদি মরহুম সাঈদ কিংবা মঞ্জুরের কোটি কোটি টাকা থাকতো -তাহলেই বা কি হতো ? তাহলে হয়তো তারা অন্যভাবে মূল্যায়িত হতেন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের প্রয়োজনের অতিরিক্তি সম্পদ তার জন্য সত্যিই বোঝা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর পর এই সম্পদ নিয়েই কলহের সৃষ্টি হয়।
এখানে উল্লেখ্য গত জুলাই মাস থেকে যে চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন , তারা হলেন যথাক্রমে পরিচালক মোঃ আবু সাঈদ, সহকারী পরিচালক সরদার মঞ্জুর আহম্মেদ, কনস্টেবল মোঃ আব্দুল জলিল মন্ডল, কনস্টেবল মোঃ মজিবুর রহমান।
শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক আ.ন.ম আল ফিরোজ, পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন, উপপরিচালক মোঃ তালেবুর রহমান, মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ আরও অনেকে।