রাজধানীতে নারী ধর্ষণ মামলায় রিহ্যাবের দুই পরিচালকে কারাগারে পাঠাল আদালত

PicsArt_09-30-05.21.32.jpg

রাজধানীতে নারী ধর্ষণ মামলায় রিহ্যাবের দুই পরিচালকে কারাগারে পাঠাল আদালত।

স্টাফ রিপোর্টঃ রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) দুই পরিচালকের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রিহ্যাবের অভিযুক্ত এই দুই পরিচালক হলেন শাকিল কামাল চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন সিকদার।

এদিন আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশফাক রাজীব হাসান মামলার তদন্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দুই আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন।

গতকাল রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী ধানমন্ডি থানায় মামলা করলে রাতেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। মামলায় ওই তরুণী অভিযোগ করেন, রবিবার চাকরির জন্য ধানমন্ডি ১৩ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে তাকে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

মামলার আবেদনে বলা হয়, আসামি শাকিল কামাল চৌধুরীর সঙ্গে ভিকটিমের ৭/৮ মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয়। ভিকটিমকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আসামি তাকে ঢাকায় আসতে বলে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই তরুণীর সঙ্গে আসামি শাকিল দেখা করে। এর দুই দিন পর তরুণীর ভাইয়ের নম্বরে কল দিয়ে তাকে অফিসে ডেকে পাঠান শাকিল। পরে ওই তরুণী শাকিলের অফিসে পৌঁছালে সে ও ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন সিকদার মিলে তাকে ধর্ষণ করে।

তারপর আসামিরা বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন।

রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আল আমিন কাজল গণমাধ্যমে বলেন, তারা দু’জনই আমার সংগঠনের পরিচালক। তবে এই মামলার বিষয় আমি কিছু জানি না। যেহেতু মামলা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করবে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে এই ঘটনায় রিহ্যাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে রিহাবের অন্য অন্য সদস্যরা জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top