উগ্রবাদ নির্মূলে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

PicsArt_08-29-09.47.11.jpg

উগ্রবাদ নির্মূলে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

তরুণ ইসলামি লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, কূটনীতিবিদ ও সুধীজনদের সঙ্গে ‘আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশে উগ্রবাদ উস্কে দিচ্ছে?’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (২৮ আগস্ট) মুভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভায় চলমান বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।



কাশ্মির, ফিলিস্তিন, রোহিঙ্গা, আসাম, উইঘুর, তালেবান, আইএস, শ্বেতাঙ্গ-বর্ণবাদ ও ভারত-পকিস্তান উত্তেজনাসহ আন্তর্জাতিক যেসব ঘটনাপ্রবাহ চলমান – তার ফলে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাকে পুঁজি করে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা হয় কি না, বা তরুণরা সেখান থেকে ভুল বার্তা পেয়ে উগ্রবাদে দীক্ষিত হয় কি না– সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

পাশাপাশি আন্তর্জাতিক এসব ঘটনার সাথে আমাদের তরুণরা কেন একাত্মতা বোধ করে, এর ফলে তারা কতটুকু উপকৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পড়ালেখা কিংবা ক্যারিয়ারের ক্ষতি করছে কি না, অন্যদেশের জনগণের প্রতি সহানুভূতিমূলক মিছিল-সমাবেশ করে নিজের দেশের মানুষের জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত করছে কি না কিংবা তাতে করে অন্যরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব পড়ছে কি না– এ বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে।

মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন মুভ ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট সাইফুল হক। এতে পুলিশের এন্টি টেররজিম ইউনিটের পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান, ডিজিএফআই’র ইমামুল আরেফিন ও মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার জ্যাকব লেভিন অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

এ সময় সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পেশ করেন এসএ টিভির বার্তা প্রধান মাহমুদ আল ফয়সাল, কলামিস্ট গৌতম দাস, ঢাকা ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ইহসানুল হক যোবায়ের, ব্রাক ইউনিভার্সিটির লেকচারার সাইমুম রেজা তালুকদার, প্রথম আলোর শাঈখ উসমান গনী, দৈনিক ইত্তেফাকের মাইনুল শাহিদ, বাংলা ট্রিবিউনের নুরুজ্জামান লাবু, ইসলাম প্রতিদিনের মাওলানা মিরাজ রহমান, ইকরা বাংলাদেশের শিক্ষক মাসউদুল কাদির, ডিস্ক ইন্টান্যাশনালের ড. তারেক মুহাম্মদ জায়েদ, ফিলিস্তিন দূতাবাসের মুহসিন মাশকুর, লেখক আসিফ সিবগত ভূঞা ও জবান.কম সম্পাদক রেজাউল করিম রনি।

এ ছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন- খোলা কাগজের হাসান ওয়ালি, সময়ের আলোর আরিফ খান সা’দ, যাত্রবাড়ি জামেয়া মাদানিয়ার শিক্ষক মাওলানা রিদওয়ানুল হাসান, দৈনিক যুগান্তরের তানজিল আমির প্রমুখ।

বক্তাগণ প্রতিক্রিয়া দেখানোর মতো স্বাভাবিক পরিবেশ নেই বলেই মানুষ উগ্রবাদে জড়িত হয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। কেউ কেউ প্রতিক্রিয়া দেখানোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির কথা বলেন। সেই সাথে প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতিসংঘকে শক্তিশালী করা এবং সার্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।



পাশাপাশি মানুষকে ধর্মের চোখে না দেখে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমানভাবে বিবেচনা করে সংক্ষুব্ধতা হ্রাসকরণের বিষয়ে পরামর্শ দেন। আলোচকরা উগ্রবাদে জড়িতদের মনস্তাত্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এর প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top