https://youtu.be/q_96So7N0lc
অবৈধ যৌনতার সময় হাতেনাতে ধরা খাওয়া সেই ছাত্রলীগ নেত্রী ইডেন কলেজের কমিটির পদ পেতে করছে লবিং!
২০১৬ সালে সাবেক এক ছাত্রলীগের নেত্রীর স্বামীর সাথে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকা অবস্থায় মিরপুর সাংবাদিক আবাসিক এলাকার লোক জন হাতেনাতে ধরে ফেলেন পাপিয়া রায় নামের ছাত্রলীগের নেত্রীকে।
এরপর ওই সময় তার বাবা এসে স্টাম্পে লিখিত দিয়ে ছাড়িয়ে নেন পাপিয়াকে। তখন তার বাবা কয়েকটি শর্ত মেনেই তার মেয়ে পাপিয়াকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যান। ঢাকা আর মেয়েকে রাখবেন না এমন শর্তও ছিল। এছাড়াও শর্তে ছিল মেয়েকে বিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকায় আসতে দিবেন না। কিন্তু পাপিয়া রায়ের বাবার এমন শর্ত ওই সময় থাকলেও তিনি তার মেয়েকে তখন থেকেই ঢাকায় রেখেছেন।
সুত্র জানায়, ইডেন মহিলা কলেজে পড়ার সুবাদে সাবেক ওই ছাত্রলীগের নেত্রীর সাথে পরিচয় হয় পাপিয়া রায়ের। এ পরিচয় থেকে নিয়মিত ছোট বোনের আবদার নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ ওই নেত্রীর বাসায় যাতায়েত করতো পাপিয়া। এই যাতায়াতের মধ্যেই সাবেক ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর স্বামী সাইফুজ্জামানের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পাপিয়া। নিয়মিত তারা দুইজন বিভিন্ন স্থানে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন এটা জেনে একাধিকবার সাবেক ওই ছাত্রলীগ নেত্রী দুইজনকেই হুশিয়ারি করলেও পাপিয়া এ সম্পর্কের কথা বার বার অস্বীকার করে যেতেন।
গত বছর নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখে সাবেক সেই ছাত্রলীগের নেত্রীর স্বামী সাইফুজ্জামান ও পাপিয়া রায়কে অসামাজিক ও অশ্লীল ভাবে মিরপুর সাংবাদিক আবাসিক এলাকার একটি বাসায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন এলাকাবাসী।
পরবর্তীতে সাবেক ছাত্রলীগের নেত্রী অর্থাৎ সাইফুজ্জামানের স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে পাপিয়া তার পায়ে পড়ে ক্ষমা চান।
সাবেক ছাত্রলীগের নেত্রী নিজের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে তাদেরকে পুলিশের হাতে না দিয়ে পাপিয়ার বাবাকে এনে শর্তানুযায়ী লিখিত রেখে ছেড়ে দেন।
সেই অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত নারী নেত্রী পাপিয়া রায় নাকি এখন ছাত্রলীগের ইডেন কলেজের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে লবিং করে আসছে।
জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন লোকজনের কাছে বলে বেড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাকি তাকে বলেছে ইডেন কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকে বানাবে এমন কথা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী নাকি বলেছে।
এ ব্যাপারে পাপিয়া রায়ের কাছে জানতে তার মোবাইলেে কল করলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে লাইনটি কেটে দেন। তাই তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
একটি সুত্র জানায়, এই ঘটনা ছাড়াও পাপিয়া একাধিক লোকজনের সাথে এধরনের কর্মকান্ডে জড়িত। ঢাকায় এ পেশায় জীবিকা নির্ভর করে পাপিয়া। অনেকে তার সাথে সম্পর্ক করে প্রতারণার স্বীকারও হয়েছেন।
আমরা সেই প্রতারণা প্রতিবেদন পরবর্তীতে প্রকাশ করবো।