শুক্রবার ও শনিবার আমরা অফিস করছি – দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।


শুক্রবার ও শনিবার আমরা অফিস করছি – দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।

দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে সাগর চৌধুরীঃ আজ শনিবার সকালে পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে কথা বলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব, মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।

শুক্রবার ও শনিবার সরকারি বন্ধের দিন হওয়া স্বত্বেও প্রধান কার্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের অফিসিয়াল কার্যক্রম চলছে, বৈশাখী টেলিভিশনের সংবাদ কর্মীর এমন এক প্রশ্নে দুদকের সচিব বলেন, আগামী ১৫ জুলাইয়ে মধ্যে কমিশনের কাছে যত মেয়াদ উত্তির্ন মামলা আছে সে সব মামলা গুলোর সমাপ্ত করার জন্য কমিশনের নির্দিষ্ঠ সময় পার হওয়া মামলাগুলোর প্রতিবেদন তৈরী করার জন্যই শুক্রবার এবং শনিবার আমরা অফিশিয়ালি চিঠি দিয়ে অফিস খোলা রেখেছি, দুদকের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় কার্যালয় এবং জেলা কার্য়ালয় খোলা রেখেছি কাজগুলো শেষ করার জন্য। সব জায়গাই কাজ চলছে। আমাদের অনুসন্ধান কর্মকর্তাগন কাজ করছে। আমরা আশা বাদি যে ভালো কিছু একটা হবে।
পেন্ডিং কাজগুলো যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারব।

“পেন্ডিং মামলার সংখ্যা কত?” ৭১ টেলিভিশনের গণমাধ্যম কর্মী জনসংনের প্রশ্নে দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব বলেন, এটা এই মুহুর্তে আমার কাছে সঠিক জানা নাই।..
তবে আশা রাখছি আমরা পেন্ডিং মামলাগুলো যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে আমরা রেগুলার মামলাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারব। যে অভিযোগ গুলো আছে সেগুলোর ডাটাবেজ নাই। ডাটাবেইজ করার জন্য আমরা কাজ করছি। একটা শিট তৈরী করছি। এটা করা হলে আমরা পরবর্তীতে দেখতে পাব ইনকোয়ারি কোন পর্যায়ে আছে। কার নামে কোন ইনকোয়ারি হয়েছে বলতে পারব। আমরা চেষ্ঠা করব, যাতে আমাদের কাজের গতিশীলতা আনতে পারি।

৭১ টেলিভিশনের সংবাদ কর্মীর আরেক প্রশ্নে জানতে চান, কি কারনে পেন্ডিং মামলাগুলো সময় ক্ষেপন হলো?

মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, লোকবল সংকট তো আছে। একই ব্যাক্তির কাছে একাধিক মামলা তদন্তের ভার। চাহিদা মত বিভিন্ন দফতর থেকে তথ্য পাই না। সেগুলো পেলেও সেগুলোর সাক্ষী সময় মত পাওয়া যায় না। এইসমস্ত কারণে মামলা সাধারনত পেন্ডিং হয়।

wnews360.com এর গণমাধ্যম কর্মী সাগর চৌধুরী প্রশ্ন করেন, একটি মামলা মানে একটি এটিএম বুথ। বুথ মানে টাকা বেরনোর মেশিন এই বিষয়ে কিছু বলবেন?

সাগর চৌধুরী’র এই প্রশ্ন শুনেই দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব, মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত নিবর থাকেন কিছুক্ষণ। তার পর স্বভাব সুলভ ভঙ্গীতে বলতে শুরু করেন, এটি যখন বলেছেন ঠিকই বলেছেন। যদি একটি মামলা আমরা সঠিক ভাবে ইনকোয়ারি করি। মামলা হওয়ার পর যদি তদন্ত করি, তাহলে আমরা যথাযথ ফলাফল পাব। যথাযথ হলে যথাযথ বিচার হবে। আর না হলে যথাযথ ভাবে বিচার করতে পারব না। সেক্ষেত্রে যথাযথ পাসওয়ার্ড না দিলে বুথে টাকা পাব না। আর যদি সঠিক ভাবে তদন্ত করি তাহলে বিচার পাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top