সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিল। ফাইল ছবি।
ভোলা প্রতিনিধি: ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিলের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলায় ইব্রাহিম খলিলসহ ১৫ সহযোগী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আটজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় তাঁর বহরে থাকা চারটি মোটরসাইকেল ও চারটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিল।
আজ মঙ্গলবার (১০ জুন ২০২৫) দুপুরে দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের চরশুভী মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
এ বি এম ইব্রাহিম খলিল জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফার প্রচারণার জন্য দৌলতখানে যান। এ সময় তাঁর সহকারী ও পরিবারের কয়েজন সদস্য সঙ্গে ছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে সৈয়দপুর ইউনিয়নের চরশুভী মাদ্রাসার সামনে এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় লাঠিসোঁটা হাতে একদল লোক তাঁর ওপর হামলা চালায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।
সোহেল, শাওন ও কুদ্দুস নামের কয়েকজনের নেতৃত্বে স্থানীয় ছাত্রদল-যুবদল কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ইব্রাহিম খলিল। এ সময় তাঁর সঙ্গীদের চারটি মোটরসাইকেল ও চারটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। হামলায় তিনিসহ ১৫ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে জেলা সদরের হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেন। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মামলা করা হবে বলে জানান।
হাসপাতালে মো. ফারুক, পার্থিব, আল আমিন, খোকন, রায়হান, রুবেল, সোহাগ ও আক্তার নামের আটজন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া ভোলা হাসপাতালের সামনে রাখা ইব্রাহিম খলিলের ব্যক্তিগত গাড়িতে দুটি আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। তবে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।
ইব্রাহিম খলিলের ওপর হামলার বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব আবু হেনা রিয়াজ জানান, সোহেল, শাওন ও কুদ্দুস নামের কেউ ছাত্রদল-যুবদল করেন না। তিনি শুনেছেন, আওয়ামী লীগের কিছু লোকজন জড়ো হলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের ধাওয়া দিয়েছে।
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. সোহান হাওলাদার হামলার সঙ্গে ছাত্রদলের কেউ জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন। তিনি শুনেছেন, আওয়ামী লীগের স্লোগান দিলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের ধাওয়া করেন।
দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু বলেন, বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিলের ওপর হামলা করেনি। এলাকার কিছু লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।
ইব্রাহিম খলিল ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহগণমাধ্যম সম্পাদক।
ইব্রাহিম খলিল গণমাধ্যমে জানান, তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসন থেকে বিএনপি’র একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী।