এবারে দুদকের মামলা সাবেক মৎস্যসচিব সারওয়ার ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
বিশেষ প্রতিবেধকঃ এবারে পাঁচ কোটি ৮৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব এটিএম সারওয়ার হোসেন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মুহম্মদ জয়নাল আবেদীন দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এই মামলা করছেন।
২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা ও ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
২০০৭ সালের ২২ জুলাই সাবেক সচিব সারওয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী স্থাবর-অস্থাবর সমুদয় সম্পদের হিসাব দুদকে দাখিল করেছেন।
তাদের সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করে সম্পদ বিবরণীতে দেয়া তথ্যে গরমিল পায়েছে দুদক। ২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি দু’জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদের মামলা করে তারা।
ওই বছর ১৫ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দাখিল করা হয়। এমনকি মামলার বিচার শেষে তাদের সাজাও দেয়া হয়। পরে তারা ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলা দায়েরে পদ্ধতিগত ত্রুটি ও আইনি কিছু পয়েন্ট বিবেচনায় নিয়ে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেন। দুদককে আইনি প্রক্রিয়ায় কাজ করতে নির্দেশনাও দেয়া হয়।
মামলায় বলা হয়, হাইকোর্টের নির্দেশনা ও দুদকের আইন বিভাগের মতামতের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর ফের সারওয়ার হোসেন ও তার স্ত্রীর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়।
২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন, তা পর্যালোচনা করে দুদক দেখতে পায়, নাজমা সারওয়ার ২০১৬-১৭ করবর্ষ পর্যন্ত ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে পারিবারিক ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। তিনি কোন উৎস থেকে ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন, তা বিবরণীতে উল্লেখ করেন নি।
মামলায় বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী এটিএম সারওয়ার হোসেনের অবৈধ সম্পদই তার নামে করা হয়। সারওয়ার হোসেন ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা অর্জন করেন। ফলে আগের মামলার চার্জশিটের অন্তর্ভুক্ত ১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদসহ বর্তমান অনুসন্ধানে পাওয়া ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকাসহ ৫ কোটি ৮৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।