দৌলতখান লঞ্চঘাটে কর্নফুলি-১৩ লঞ্চের দূর্ঘটনা।
সাগর চৌধুরীঃ আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কর্নফুলি-১৩ লঞ্চটি দৌলতখান উপজেলা লঞ্চঘাটে চলন্ত অবস্থায় সজোরে ধাক্কা দেয়। এই সময় লঞ্চে ওঠার যাত্রীরা আহত হন বেশ কয়েক জন। আহত যাত্রীদের মধ্যে পা ভেঙে যায় দৌলতখান সরকারি স্কুলের করনিক নাসিমের।
দৌলতখান লঞ্চঘাটের ঘাট সুপারভাইজার রফিক বলেন, ওরা এমনই করে। কারো কোন কথা শোনে না। ক্ষমতার দাপট দেখায়।
করনিক নাসিমের প্রতিবেশী এবং লঞ্চের যাত্রী জাবের বলেন, আমরা ঘাটে ছিলাম। হঠাৎ করেই কর্নফুলি-১৩ লঞ্চটি পল্টুনের সাথে সজোরে ধাক্কা খায় এবং সাথে সাথে দৌলতখান সরকারি স্কুলের করনিক নাসিম পল্টুনের উপর পড়ে যায়। আমরা তাকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার পায়ের অবস্থা খুবই খারাপ।
দৌলতখান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবদুল খালেক বলেন, লঞ্চটি যখন ঘাটে ভীরে তখন কর্নফুলি-১৩ লঞ্চটি ঘাটে ধাক্কা দেয়। কর্নফুলি-১৩ লঞ্চটির ধাক্কাতেই
দৌলতখান সরকারি স্কুলের করনিক নাসিমের পা ভেঙ্গে যায়। তাকে তার ছেলে ও স্ত্রী সহ আমরা দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইমারজেন্সি ডাঃ চন্দন আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। আমরা তাকে পুনরায় দৌলতখান লঞ্চঘাটে নিয়ে আসি ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্য।
ইতিপূর্বে কর্নফুলি-১৩ লঞ্চটি বেপরোয়া ভাবে ভিবিন্ন সময় লঞ্চঘাটে ধাক্কা দেয় এবং মানুষ আহত হয়। তাদের এভাবে বেপরোয়া গতিতে চলাচলে বিআইডব্লিউটিএ কে জানাই; তারা যেন কর্নফুলি-১৩ লঞ্চটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করে।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও ঢাকা ঘাটে কর্নফুলি-১৩ লঞ্চটির আঘাতে দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক, সিডু মিত্যু বরন করে। তার পরিবারকে কোন রকম সাহায্য করেনি কর্নফুলি-১৩ লঞ্চ মালিকপক্ষ।
দৌলতখান সরকারি স্কুলের করনিক নাসিমের ছেলে কে এম রিপন মাহমুদ (বাধন) বলেন, কর্নফুলি-১৩ লঞ্চটির ধাক্কায় আব্বুর পা ভেঙ্গে গেছে। আব্বুর চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি।
দৌলতখান উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান
আইনুন নাহার বিনু বলেন, আমি ঘাটে উপস্থিত ছিলাম। কর্নফুলি-১৩ লঞ্চটি ধাক্কায় দৌলতখান সরকারি স্কুলের করনিক নাসিমের পা ভেঙ্গে যায়। কর্নফুলি-১৩ লঞ্চটি চলাচল ভালো না। এর আগেও এরা বহু দূঘর্টনা ঘটায়।