আষাঢ়
মোঃ আঃ কুদদূস
প্রথম আষাাঢ়ে প্রবল বৃষ্টি ঝড়ে
স্বপ্নের বাসরে শুধু যে ভাসে রে-
টানা টানা চোখ তৃষ্ণার্ত চাহনি
বৃষ্টিস্নাত সদ্যফোটা মঞ্জুকেশিনী
কী যে তাহার ব্যাকুল আহ্বান!
আজিকে দূর দূরান্তের মেহমান;
নির্লোভ অভাগার ব্যথাতুর মন
ভালোবাসার অভাবে উচাটন।
কখনো হেরি ঐ মুখে সুখের হাসি,
কখনো বেদনার কান্না রাশি রাশি-
আষাঢ়ের বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়ে।
নিঃশব্দের ব্যথাগুলোও যায় সরে।
না দেখার কষ্টে কুঁকরে উঠে বুক
বেদনাক্লিস্ট কবি যেন আজ মুক
তবুও এই বৃষ্টি, আশার বীজ বোনে
ভালোবাসাহীন মনের গহীন বনে।
বৃষ্টির সাথে মগডালে কদম হাসে
কেউ বা হাসে আরশির মুখে বসে
অচেতনে মায়াবী হাসি হেরি নিশ্চুপ
আষাঢ়ে বৃষ্টি আনে অনুরাগের স্তুপ।
আনমনে হাসাহাসি কতই না হয়
বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখি;তবে দেখাদেখি নয়।
তবুও কি এই প্রাণ, ভুলে যায় গান;
যে গানের প্রাণ, ভালোবাসার দান?
আষাঢ়ের বর্ষা আনে কত যে মায়া
কালো মেঘ বহায় অনাবিল ছায়া
কৃষকের বুকে জাগে কত যে আশা
চৌচির মাঠ জুড়ে জাগে সব ভরসা।
চোখের পাতায় স্বপ্নের ছোঁয়ায়
মৃত প্রাণ নিয়ে বসে অপেক্ষায়-
জীবনের আলেখ্য বৃত্তপুষ্প ঠোটে,
বারবার দেখার শখে-বসে এ ঘাটে।
১৬ জুন ২০১৯
নরসিংদী।