অগোচরে
মোঃ আঃ কুদদূস
দৃষ্টির অগোচরে নিরবে বা নিভৃতে আমি
অশ্রুজলে ভাসাব এই শূন্য হৃদয়,
তবুও কোন দিন বলবো না, বলবোই না
তাকে, যে গিয়েছে স্বেচ্ছায় হারিয়ে।
যাক্ না, কত দূর যাবে, আমার দু’নয়ন হতে
বিসর্জিত অশ্রুর পথ মাড়িয়ে মাড়িয়ে
কিচ্ছুই বলবো না, দৃষ্টি সীমানার বাইরে শুধু
দেখবো চলে যাওয়া তাকিয়ে তাকিয়ে।
এক মানুষ কিভাবে অন্য মানুষকে অপমান
করে সুখী হয় এই জগৎ জনমে?
হৃদয়ের রক্তক্ষরণ তাকে দেখাতে যাবো না
কোনদিন কোনখানে আনমনে।
আমি শুধু পোড়ামন নিয়ে বেঁচে থাকবো
এই জগতে খুড়িয়ে খুড়িয়ে
সুখ যে বড়ই অসুখ, দেখাবো তাকে যে গেছে
আমার মনের খাঁচা ভাঙিয়ে।
সকলের অগোচরে হৃদয়ের সব জ্বালা যন্ত্রণা
নিঃশেষ করে নিঃশেষিত হব আমি
তবুও দেখিয়ে যাব কিভাবে প্রকাশ করতে হয়
প্রবঞ্চকের শঠতা আর গোঁড়ামি।
নিরবে নিশ্চল আমি তিলে তিলে দগ্ধ করে দিব
আমার যে সব চাওয়া ছিল অতীতে
তবুও একটি বারের জন্য বলবো নাকো তাকে
আমার তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে জল দিতে।
যে চলে গেছে দূর, বহু দূরে, ছলনার নৌকা
বেয়ে বেয়ে হাসি-ঠাট্টার ছলে।
কী আজ প্রয়োজন, তাকে ধরে রাখব আমি
নানা রং-বেরঙয়ের কলা কৌশলে।
আমি, সময়ের প্রয়োজনে, শুধু বুক ভরা ব্যথা
নিয়ে বয়ে যাব এ জীবন তরী
কোন প্রয়োজন নেই আমার, যে কেউ একজন
হোক, সেই তরীর যাত্রী শর্বরী।
সবার অজ্ঞাতে, সর্বদা বয়ে চলি, এক আকাশ
অভিমানের উঁচু পাহাড়
তাতে কী? রুক্ষ এই পাহাড়ের বুক চিরেই নেমে
আসে শত শীতল জলাধার।
শত বেদনা-কান্নার লোনা জলে অচেনা পথিক
সেই জলে মিটায় পিপাসা
কেউ হয়তো কোনদিন বুঝবে না সেই জলের
পিছনে আছে কার তামাসা।
যে যাওয়ার সে যাক, তার পথ ধরে, দূর নীলিমায়,
মরুভূমির মরীচিকার পিছে
আমি অপ্রত্যক্ষে বসে আছি, নিরবে নিরালায়
নির্জনে,শত ব্যথার কাছে।
১৩ আগস্ট ২০১৮
সমিল মুক্তক ছন্দ