ইচ্ছে করে
মোঃ আঃ কুদদূস
জীবনের সব ভালো লাগাগুলো হারিয়ে
মাঝে মাঝে হৃদয়টা পাষাণ হয়ে ওঠে।
তখন সব আপন মুখগুলোকে বড় অচেনা
লাগে, খুব নিষ্ঠুর মনে হয়।
অথচ সবাই তো সুন্দর, কোমল মন নিয়ে
জম্মায়; ভালোবাসতে চায়-
আমাদের সুন্দর পৃথিবীকে,
পৃথিবীর সব সৃষ্টিকূলকে,
সৃষ্টিকূলের সেরা সৃষ্টিকে,
সেরা সৃষ্টির সবচে’ প্রিয় মুখকে।
তা সত্ত্বেও কালের খেয়ায়-
সুন্দর মন ও মননশীল মানুষগুলো কিভাবে
বদলে যায় যুগের আয়নায়!
তাহলে কি যুগই মানুষকে পাল্টায়, মানবিকতা
হতে পাশবিকতার হীনস্থানে নামায়?
না, মানুষ যুগকে পাল্টিয়ে-
যুগের অাঁধার তাড়িয়ে আলোর মশালে ঝাঁঝাঁলো
মিছিল বের করে।
আমাদের সময় কোনটা?
আমরা কি যুগের হাওয়ায় পাল তুলছি?
না কি, পালের নৌকাকে উল্টো স্রোতে ভাসাচ্ছি?
সত্যিই, বড় জানতে ইচ্ছে করে।
কারণ, আমরা কি করছি তা জানা প্রয়োজন;
সময়ের হাতে প্রজম্মকে সোপর্দ করা
বড়ই বিপদ সংকেত।
আমরা আমাদের সময়ের সেরাটা পেতে চাই,
সেরাটা দিতেও চাই।
তাই, আমাদের বদলাতে হবে-
আমাদের আঁধারের পরিক্রমা,
আমাদের ঘুনে ধরা ঐতিহ্য,
আমাদের চলার ভাঙা রাস্তা,
আমাদের চাষের কুসুম কানন,
আমাদের প্রতিদিনের স্বপ্ন,
আমাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।
সত্যি, বড় জানতে ইচ্ছে করে-
ভালোবাসাগুলো কেন এমনি করে হারিয়ে
যায় গোধূলির ঘন অন্ধকারে?
আর তা হারিয়ে যাওয়ার পরও কেন আমরা
বেঁচে থাকি?
স্বপ্ন দেখি, নতুন দিনের, সোনালি চাঁদের।
সত্যিই, বড় জানতে ইচ্ছা করে।
৩১ জুলাই, ২০১৮
গদ্য ছন্দ।