ফাইল ছবি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের যে তৎপরতা ছিল অন্য কোনও দলের সে তৎপরতা চোখে পড়েনি।
আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আরো বলেন, ‘এবার নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় ছিল এবং রোজার সময় অনেক পণ্যের মজুত ছিল, তাই দাম বাড়েনি। গণমাধ্যম ভালো সংবাদ পরিবেশ করেছে। এজন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াকে আদালত সাজা দিয়েছেন। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। দলের নেতারা তার মুক্তির জন্য কাজ করছেন। তারা এ মুক্তির জন্য আন্দোলনও করতে পারেন।
কিন্তু সেই আন্দোলন যদি ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো করার কথা ভাবে তার সুযোগও নেই, সামর্থ্যও নেই। ২০১৪ সালের মত জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন করলে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সংসদের মেয়াদ আছে। ৯০ দিন আগে যেকোনও দিন নির্বাচন হবে। ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্র পরিচালনা করবে সেই সময়। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা সহায়ক সরকার বলে বাংলাদেশে আর কিছু হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হাসপাতাল সরকারিভাবে এবং সিএমএইচ সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় নির্বাচনে সেনাবাহিনী চায়, কিন্তু সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হাসপাতালে তাদের ভরসা নেই। একজন অসুস্থ মানুষ তার পছন্দের হাসপাতাল না হওয়ায় সময়ক্ষেপণ করেন কীভাবে, এটা বুঝি না।