এসব ড্রমে ভর্তি করে রেনু পনা পাচার করা হয়।
ভোলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিনের ধরা কোটি টাকার বাগদা চিংড়ি রেণু তেঁতুলিয়া নদীর গাড়িকাটা ঘাট দিয়ে পাচার করা হচ্ছে। পুলিশ, কোস্টগার্ড, স্থানীয় প্রশাসন ও মিডিয়া ম্যানেজের নামে চাঁদা তোলা হচ্ছে ব্যারেল ড্রামপ্রতি ৮শ’ থেকে এক হাজার টাকা।
হিসাব অনুযায়ী এক ঘাটেই চাঁদা তোলা হয় লাখ টাকা। রাত ৯টা থেকে রাত ১২টার মধ্যে শিপন মাঝির দুটি ট্রলার ৫০-৬০ ব্যারেল ভর্তি চিংড়ি রেণু নিয়ে ওই ঘাট ছাড়ে। বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন ও লালমোহন (একাংশ) উপজেলার ৬টি মাছ ঘাটের ৪৫ আড়তের রেণু পাচার করা হয় তেঁতুলিয়া নদীর গাড়িকাটা ও বাগমারা ঘাট দিয়ে।
শুক্রবার ভোর রাতে পাচারকালে বরিশাল লাহারহাট এলাকার নেহালঘাট অতিক্রমের সময় কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা দুই ট্রলারে ৩৭ ব্যারেল (১০ লাখ রেণু)সহ ৬ জনকে আটক করেছে বলে জানায় কোস্টগার্ড গোয়েন্দা বিভাগ। হিসাব অনুযায়ী ওই রেণুর মূল্য ৫০ লাখ টাকা। রেণুসহ ৬ জন আটকের পর অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে রেণু পাচারকালে চাঁদাবাজির চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমউদ্দিনঘাটে ফরিদ দালাল, আজাদ চৌধুরী, কামাল , নসু মিয়াসহ ২০ জন আড়তদার মেঘনা নদীতে চিংড়ি বাগদা রেণু ধরার কাজে জনবল নিয়োগ করে। ওই কাজে প্রাইমারি স্কুলগামী কয়েকশ’ শিশুও রয়েছে। যারা হাজার হাজার অন্য প্রজাতির রেণু বিনষ্ট করে বাগদা রেণু ধরে। তাদের কাছ থেকে রেণু ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা দরে কিনে নেন আড়তদাররা। এরা ওই রেণুই ব্যারেলে (ড্রামে) ভরে স্থানীয় উজ্জ্বল দালাল ও মোশারেফ দালালের মাধ্যমে শিপন মাঝির ট্রলারযোগে খুলনা, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় পাচার করে। চাঁদা তোলার বিষয় ও রেণু পাচারের ঘটনা সত্য বলে জানান দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন।
ভোলার পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন জানান, যারা পুলিশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে তাদের আটক করা হবে। আমরা অভিযান পরিচালনা করব।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি অসীম কুমার শিকদার বলেন, এলাকা থেকে চিংড়ি বাগদা রেণু ধরা হচ্ছে। তবে যে এলাকা দিয়ে পাচার হচ্ছে তা বোরহানউদ্দিন ও ভোলা সদরের সীমানা দিয়ে।
তবে ভোলা জেলার ভিবিন্ন উপকূলের ঘাট আড়তদারেরা দাবি করেন, বাগদা চিংড়ি রেণু এ অঞ্চলের জন্য সম্পদ ও আর্শীবাদ। এ রেণু খুলনা ও বাগেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষ করে চিংড়ি মাছের চাহিদা পূরণ করা হয়। এ রেণু পরিবহনের সময় পথে পথে চাঁদা দিতে হচ্ছে। প্রশাসনের ভিবিন্ন স্তরে চাঁদা দিতে হয়।