সংগীতে এবার ‘একুশে পদক’ পেতে যাচ্ছেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৮ সালের একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করা হয়। গুণী শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর পরিবারের পাঁচ প্রজন্ম গান লেখার সঙ্গে যুক্ত। তিনি নিজে লোকগানের শিল্পী। সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়ে লোকসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালান করেছেন দীর্ঘদিন। ১৯৫৭ সালে ছোটদের আসরে গান করতে শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় গান গেয়েছেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে। গান লেখা, সুর করা, গাওয়া ছাড়া লোকগান সংগ্রহ করেন তিনি।
রাজবংশী বলেন, এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি আমার মতো করে কাজ করে যাচ্ছি। এই পদকপ্রাপ্তি আমাকে খুবই আনন্দিত করেছে। আমার শক্তিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রেরণা দিয়েছে। আমিও কাজ করে যাব। সবাই জানেন, আমি গান করি। আমি গান লিখে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গান শিখিয়ে গবেষণার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করব। আমি বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করি। বাচ্চাদের জন্য অনেক গান করেছি। বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর মাধ্যমে গানগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
ভিন্ন পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়েই আমাকে কাজ করতে হবে। সময়কে অস্বীকার করার উপায় নেই। সময়কে ধারণ করে আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে হবে। সাহিত্যিক আর সংগীতশিল্পীরা কাজ করে যাচ্ছেন। আমি মনে করি নিজস্বতা বজায় রেখে সময়কে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
স্বকীয়তা বজায় রাখতে নিজেদের সংস্কৃতির ব্যাপারে পুরোপুরি ধারণা থাকতে হবে। তা বুঝতে হবে। অতীতকে না জেনে বর্তমানকে উপলব্ধি করতে পারব না। আর বর্তমানকে উপলব্ধি করতে না পারলে ভবিষ্যৎকেও রচনা করতে পারব না।