সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আমি নেই: সারজিস আলম

Picsart_25-01-23_12-55-11-974.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আমি নেই: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

বিশেষ প্রতিবেদকঃ জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানিয়েছেন, তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে নেই।

বুধবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান সারজিস আলম।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আমি নেই। এই ফাউন্ডেশনের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র, কাঠামো ও কাজের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।’

সারজিস আলম তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, এখন থেকে এক্সিকিউটিভ কমিটি পুরো ফাউন্ডেশনের অফিসের সার্বিক বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বর্তমানে সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ‘গভর্নিং বডি’ ফাউন্ডেশনের নীতিনির্ধারণে (পলিসি মেকিং) কাজ করবে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টাসহ চারজন উপদেষ্টা (স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার ও আইসিটি) রয়েছেন। ‘সাধারণ সম্পাদক’ নামের কোনো পদ এখন ফাউন্ডেশনে নেই।

পোস্টে সারজিস আলম আরও বলেন, ‘এই ফাউন্ডেশন প্রথম আর্থিক সহযোগিতা শুরু করে ১ অক্টোবর, অফিস চালু হয় ১৫ অক্টোবর থেকে। আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি ২১ অক্টোবর। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২ মাস ১০ দিন আমি এ দায়িত্ব পালন করি। এরপর আমি দায়িত্ব থেকে সরে আসি। ফাইনালি আমার সাইনিং অথরিটি ৭ জানুয়ারি হস্তান্তর হয় এবং অফিশিয়ালি আমার দায়িত্ব শেষ করি।’

পোস্টে সারজিস আলম জানান, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাচাইকৃত (ভেরিফায়েড) ৮২৬ জন শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬২৮ জনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। পাশাপাশি প্রায় ১১ হাজার ভেরিফায়েড আহতের মধ্যে প্রায় ২ হাজার আহতকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।

সারজিস আলম বলেন, যত দিন পর্যন্ত তিনি তাঁর সর্বোচ্চ সময় ফাউন্ডেশনে দিতে পেরেছেন, তত দিন তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। যখন মনে হয়েছে, এখন থেকে ফাউন্ডেশনে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া তাঁর জন্য সম্ভব হবে না, তখন তিনি দায়িত্ব থেকে সরে এসেছেন। তাঁর কাছে নিজের সীমাবদ্ধতা অ্যাড্রেস করা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণ বা ত্যাগ করা কোনো দুর্বলতা নয়। বরং এটাতে সৎ সাহস লাগে। তিনি চেষ্টা করেছেন তাঁর চেয়ারের দায়িত্বের সঙ্গে সৎ থাকতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top