ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গবেষণার উপর জোর দিতে হবে – স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
সাগর চৌধুরীঃ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদে দেশব্যাপী ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে গবেষণা এবং উন্নয়নের উপর জোর দিতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকল্পে গঠিত কমিটিতে দেশের স্বনামধন্য কীটতত্ত্ববিদগণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা এসব ব্যাপারে অভিজ্ঞ। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই দেশে ডেঙ্গু মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
উপদেষ্টা আজ (সোমবার) বিকালে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে দেশব্যাপী ডেঙ্গু ও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধকল্পে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে উপস্থিত সুধীবৃন্দের প্রতি এসব কথা বলেন৷
হাসান আরিফ বলেন, বাংলাদেশের গবেষণা ও উন্নয়ন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিশ্চল অবস্থায় আছে। রাজধানীতে একটা মশক নিবারণী দপ্তর আছে। যা বস্তুত অকার্যকর। ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানটিতে গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে গতিশীল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মশক নিধনে মেডিসিন ভিত্তিক কার্যকলাপে সীমাবদ্ধ না থেকে পরিবেশ বান্ধব কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞগণ মতামত দিয়ে জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাগত তথ্য নয়, রোগীর ঠিকানা অনুসন্ধান করেও ব্যবস্থা নিতে হবে৷ মশক নিধন স্প্রে শুধুমাত্র নালা-নর্দমায় নয় বাড়ির ভিতরেও ছিটানো প্রয়োজন৷ সিটি কর্পোরেশনগুলোতে এন্টোমলজি ল্যাব স্থাপন করতে হবে। বিভিন্ন স্থান হতে মশা সংগ্রহ করে প্রজাতি নির্ধারণ করে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে।একই সাথে এলাকাভিত্তিক লার্ভার দৈনন্দিন ঘনত্ব কেমন তা যাচাই-বাছাই করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
সভায় প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা যায়, সারা দেশে এই বছর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৪ হাজার ৪৭১ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৩১৪ জন। গত বছর এই সময়ে ডেঙ্গু সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ১৬৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৮০ জন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে ঢাকায় দুই সিটি কর্পোরেশনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৭২ টি স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। যেখানে লার্ভা পাওয়া গেছে ৭ হাজার ১৯৫টি স্থাপনা৷ প্রজনন স্থল ধ্বংস ও লার্ভিসাইড স্প্রে করা হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার ৩০৭ টি স্থাপনায়। মশক নিধনে স্প্রে করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৫০৫ টি নোভালিউরন ট্যাবলেট প্রয়োগ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব মো. নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. মো. শাহাদাত হোসেন, ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ডিএনসিসি’র প্রশাসন মো. মাহমুদুল হাসান, নাসিকের প্রশাসক মো. কামরুজ্জামানসহ আরও অনেকে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
একতাই সমবায় আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি, বিভাজন নয় – স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
আরও সংবাদ পড়ুন।
রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ ৪ বছর হওয়া উচিত – স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
আরও সংবাদ পড়ুন।
পনের বছরের জঞ্জাল একদিনে পরিষ্কার হবে না – স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
চট্টগ্রামে বন্যা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরী – স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
আরও সংবাদ পড়ুন।
বন্যার্তদের জন্য ৪০ লাখ টাকা অনুদান দিলো সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড
আরও সংবাদ পড়ুন।
বন্যাদুর্গত এলাকায় ৩৬ লাখ পিউরিফিকেশন ট্যাবলেট বিতরণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ
আরও সংবাদ পড়ুন।
চট্টগ্রামে বন্যা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরী – স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।