এতসব করেও একটা সময় ঠিকই পালাতে হয়: ড. কামাল
বিশেষ প্রতিবেদকঃ গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, টাকা-পয়সা দিয়ে ভোট কেনা যায়, কিন্তু জনগণের আস্থা অর্জন করা যায় না। টাকা দিয়ে ভোট কিনে ক্ষমতায় আসার পরে সেই টাকা ভাগবাঁটোয়ারা করা হয়। কিন্তু, এতসব করেও একটা সময় ঠিকই পালিয়ে যেতে হয়। দেশে কেন থাকতে পারে না? কারণ, তারা জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণফোরামের দুই অংশ এক হওয়ার বিষয়ে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়েছে, গণফোরামের বিভক্ত দুই অংশ শিগগিরই ঐক্যবদ্ধ হতে যাচ্ছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দলের সব নেতাকর্মী এক ব্যানারে চলে আসবেন। ঐক্যবদ্ধ গণফোরামের কাউন্সিল হবে।
সভায় ড. কামাল বলেন, আমরা সাময়িক সুবিধার জন্য রাজনীতি করি না। আমরা চাইলেই তথাকথিত মন্ত্রী হতে পারতাম, কিন্তু সেটা হইনি। কারণ, আমরা চাই, জনগণ সত্যিকার অর্থে ক্ষমতার মালিক হোক। তিনি বলেন, সুষ্ঠু রাজনীতি করতে হলে জনগণকে বোঝাতে হবে যে আপনারা দেশের পাহারাদার, আপনারা ভোটে অংশগ্রহণ করুন। লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, তাদের বিতাড়িত করতে হবে।
ড. কামাল বলেন, সুষ্ঠু রাজনীতি করার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। সে প্রতিজ্ঞা আমরা ধরে রাখতে পেরেছি। আমরা কারো কাছে বিক্রি হইনি। এখানে যারা আছেন, তারা একজনও বিক্রি হননি। মানুষের আস্থা যদি ধরে রাখতে না পারি তাহলে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারব না। তিনি বলেন, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠান ধরে রাখতে পারব কি না, আমরা টাকা দিয়ে নির্বাচন করিনি, ভোট কিনে নির্বাচিত হই না।
সভায় গণফোরামের শীর্ষ নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা আজ আমাদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনের উপস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল স্তরের রাজনৈতিক, সাংগঠনিক ও সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করছি। দ্রুততম সময়ে ঐক্যবদ্ধ গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল হবে। মোস্তফা মহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, ডা. মিজানুর রহমান প্রমুখ।