পিএসসির আরও ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা – পিএসসির চেয়ারম্যান

Picsart_23-04-28_08-46-12-756.jpg

পিএসসির আরও ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা – পিএসসির চেয়ারম্যান

অপরাধ প্রতিবেদকঃ কোচিং বাণিজ্যে জড়িত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আরও ৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 

পিএসসি সূত্র বলছে, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অংশ হিসেবে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দশার্নের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন—পিএসসির প্রধান কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন ও মো. শাহাবুদ্দিন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম ও রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. মনিরুল ইসলাম।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন। আজ সোমবার তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক তদন্তে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোচিং ব্যবসায় যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’

এর আগে, রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুই উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত এবং তদন্ত করতে দুনীতি দমন কমিশনকে নির্দেশনাও দিয়েছে পিএসসি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—দুই উপপরিচালক আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির, ডেসপ্যাচ রাইডার খলিলুর রহমান ও অফিস সহকারী সাজেদুল ইসলাম। এ ছাড়া এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পিএসসি।

পিএসসি সূত্র বলছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির কোচিং ব্যবসা জড়িত ছিলেন। ঢাকার মালিবাগের জ্যোতি কমার্শিয়াল কোচিং সেন্টারের পরিচালক আবু জাফর। কোচিং সেন্টারটি তাঁর স্ত্রী জ্যোতির নামে। আর আলমগীর কবিরের কোচিং সেন্টারটি ঢাকার মিরপুরে।

পিএসসি থেকে জানা যায়, চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছেন, যা দাপ্তরিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী। আপনার এরূপ আচরণের জন্য বিধি অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে পত্র প্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো।’

আরও সংবাদ পড়ুন।

বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত পিএসসির ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গ্রেফতার ১৭

আরও সংবাদ পড়ুন।

গুরুদণ্ডের শাস্তি হয়ে গেল লঘুদণ্ড; অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে প্রশাসন ক্যাডার

আরও সংবাদ পড়ুন।

অচল মাঠপ্রশাসন; শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভুল সিদ্ধান্তেই জটিলতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top