রমজান একটা গাঁজাখোর – শাহানা সিরাজী

Picsart_24-06-15_19-00-14-561.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

রমজান একটা গাঁজাখোর

গরুদের হাম্বা হাম্বা ডাকে আর পাখিদের কল-কাকলিতে গোধুলি লগ্নটা রমজানের কাছে অদ্ভুত লাগছে। সব কাজ ফেলে সে হা করে দেখছে, কী দেখছে?সাদা সাদা বকপাখিরা ঝাঁক বেঁধে উড়ছে। খামারবাড়িটি ঘিরে পাখিদের এক মহাউৎসব। একেবারেই নির্ভিঘ্নে পরম নিরাপত্তায় তারা ডিগবাজি খাচ্ছে।সাথে যুক্ত হয়েছে পানকৌড়ি। যেন সবাই মিছিলে নেমেছে। মিছিলের কেন্দ্র বিন্দু রমজান।

বকপাখিরা ডিগবাজি খেতে খেতে একবারে রমজানের মাথার উপর চলে আসে আবার রকেটের মতো ঊর্ধ্বে উঠে। পানকৌড়িরাও একই ভাবে রমজানের সাথে খেলায় মেতে ওঠে। আজ গরুগুলোর ঘর বদলের পালা। কারণ গর্ভবতী গ।িীদের নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। যে গুলো প্রজননের ডাক দিয়েছে সেগুলোকে আলাদা রাখতে হবে। রমজান মনোযোগ দিয়ে তার কাজ করে যাচ্ছে। গরুগুলো পাশে নতুন সঙ্গী দেখে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। চোখ থেকে পানি ঝরছে। পুরোনো বন্ধুদের জন্য বুঝি প্রাণটা মোচড় দিচ্ছে। রমজান পাশে দাঁড়ায়। গলায়, ঘাড়ে হাত বুলায় । কানে কানে বলে তোদেরকে এখন থেকে আরো বেশি দেখন লা্গবো । তাই আলাদা করছি , কান্দিস না। তার গালের সাথে গরুগুলো গাল ঘষে। পরম যত্নে রমজান গরুগুলোর ভাষা বুছে নেয়। খইল-ভুষি-ভেজা খঢ় মিশিয়ে খেতে দেয়। ধীরে ধীরে হাম্বা হাম্বা ডাক কমতে থাকে।

এ খামারবাড়িটি তার অনেক ভালো লাগার জায়গা। অথচ কাল থেকে সে আর এখানে পা রাখতে পারবে না। কারণ তার চাকুরি শেষ। বড় বাবু তাকে দশ জনের সামনে ডেকে অপদস্ত করে বললেন, তোর আর এখানে থেকে কাজ নেই! তুই একটা গাঁজাখোর! তুই এখানে থাকলে এ বাড়ির সকলেই গাঁজা খাওয়া শিখবে।

হ,আমি গাঁজাখোরই। তয় কিয়ারে যে গাঁজা খাই হে কতা কারে কমু! রমজান দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে –

এ বাড়িতে হেই কুন ছুড়ুবেলাত্তুন কামকাইজ করি। এ খামার, এ গরু, পাখি এ সব আমার কত যে চেনা!

প্রতিটা গরুর রমজান আলাদা আলাদা নাম দিয়েছে।লালি,ডালি,কালি, মেঘালি, সোনালি, রূপালী, রূপবতী। এভাবে পঞ্চাশটি গরুর নাম তার মুখস্ত। গরুগুলোর সাথে তার জনম দোস্তি। সারাদিন গরুর সাথেই তার বাস। কোন গরুর কী প্রয়োজন সব তার জানা। ভোরে আজানের পর পরপই সে খামার বাড়ির গেইট খোলে। ত্রিশটি গাভী দুধ দেয়।

কোনটার বাচ্চা হয়েছে এক মাস, কোনটার দুই মাস, কোনটার ছয় মাস। দুধ তাকেই তো দোহন করতে হয়। তার আগে গরুগুলোকে ভালো করে গোসল দিয়ে নেয়। সারা রাত গরুর চনা- গোবরের ভেতর বাস করার কারণে গায়ে ময়লা লেগে থাকে। গোসল করিয়ে, ঘর ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে নেয়। তারপর এক এক করে গরু বাইরে এনে দুধ দোহন করতে হয়৷ ততোক্ষণে ক্রেতারা এসে যায়। মালকিন এসে যায়। রমজান আলীর সঙ্গী সুরুজ মিয়া। সে সকাল সকাল পিপা পরিষ্কার করে নতুন করে খড়-খইল ভিজিয়ে গরুর খাবার প্রস্তুত করে।

রমজান দুধ দোহন করে। তারপর সুরুজ নিয়ে খাবারের পিপার সাথে বাঁধে। গরুগুলো লেজ নাড়ে। খাবে না। রমজানের অপেক্ষা করে বোধ হয়। সবকটা গরু থেকে দুধ নেয়া শেষ হলে রমজান নিজের খেয়ালে শিস দেয়, ও লালি, ও বুলি খের খা রে খের খা…

রমজান খামারের প্রতিটি গরুর লজ নাড়িয়ে দেয়,গলা চুলকিয়ে দেয়,গায়ে হাত বুলায়। গরুগুলো আদুরে ডাক ছাড়ে এবং খাবারে মন দেয়।

বাকি বিশটি গরুর কোনটা আবার বাচ্চা দেবে এক মাস, দুইমাস, তিনমাস,ছয় মাস,নয়মাস। এ গরুর কেয়ার নিতে হয় সাবধানে। খাবারে,খইল,ভুষি, ভাতের মাড়, গমের ভুষি, ইত্যাদি মেশাতে হয়। এ সব কাজে রমজান পাকা।কাজের সময় তার ফাঁকি ফুঁকি নেই। দিনের দশটায় তার গরুর যত্ন শেষ। এখন সুরুজ মিয়া ঘাস কাটবে, বাদল কাঁচা ঘাস আনবে, তারা খামারের আশে পাশে পরিষ্কার করবে।
রমজান মারাত্মক নিঃসঙ্গতায় ভোগে। বাড়িতে মা নেই, সৎ মায়ের অত্যাচার, বাবার কটু কথা তার ভালো লাগে না।

মালকিনের বাড়িতে বড় হলেও তারা খেতে দেয় বটে কিন্তু সম্মান তো দেয় না! তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলে।
রমজানইন্না বলে ডাকে। মেহমান অতিথি সবার সামনেও তাকে বেইচ্চত করে কথা বলে। আচ্ছা আমি গরীব বইলা আমার মান-সম্মান নেই? মা কবে মসু কাকার লগে বিয়া করছে হেইসব কতা লই হগলে হাসে। এমূন হাসন হাসে আমিও হাসি।কিন্তু কলিজায় কষ্টগুলো মন্দার কাঁটার নাহান বিঁধে।
মা, ও মা, আমি তো জানি তুই ক্যান ভেগেছিস!

বাবায় তোরে আজীবন খাটাইছে মাইনষের বাড়িতে। তোর যে স্বামী আছে এটা মনে অইতো বছর বছর বাচ্চা দেয়ার সময়।
মাইনষে কইছে রমজাইন্নার বোইন অইছে, ভাই অইছে। অইতে অইতে আমরা ছয়জন অইলাম। একদিন বাবায় তোরে মারলো, তোর কাজে যাইতে মন চায় নাই। মালকিনের বাড়িতে হেদিন মেহমান আইছিল। মালকিন বাবার কাছে নালিশ দিলো। বাবায় কইলো নুন খাস যার তার গুণ গাইতারস না!

মায় হেদিন ইচ্ছা মতো কাঁনছে। তারপর থেইকা মায় বাবার লগে কতা কয় নাইগা। মায় কইছে, হুন রে রমজান,বাপ আমার,আমার শোরীলে আর সয় না। দিনে কাম-কাইজের জ্বালা রাইতে তোর বাহের জ্বালা। আমি এ সংসার আর করুম না! আমার শান্তি লাগে না! ভাত দিতারে না,কাপড় দিতারে না। মাইর দিতারে!

তারপর একদিন মায় মসু কাকারে বিয়া কইরা চইলা গেছে। মার চলে যাওনের ভিত্তে আমি কুনু দূষ খুঁজে পাইনাইজ্ঞা!
কিন্তুক হগলে মিল্লা রাইত দিন আমারে, আমার ভাই বোনেরে কী বেইজ্জতি না করে!

রমজান দিন দিন ডিপ্রেশনে চলে যায়। গরুর সাথে তার কথা গরুর সাথে তার সুখ শান্তি। তাও সবার সহ্য হয় না। রমজান নাকি গরুর সাথে যৌনকর্ম করে – এ নিয়ে নানান গুজব। নইলে গরুগুলো তার এতো বাধ্য কেন? গাঁয়ের মানুষের কথা কত সয়া যায়! মালকিনের কতা কত সয়া যায়! মাইনষে ইতান কেমুন কতা কয়রে বাবা!

ওপাড়ার কাদের হাসে আর বলে কী রে রমজাইননা, তুই নাকি গরুর সাথে কুকর্ম করছ? রমজান ক্ষেপে গিয়ে লুঙ্গী খুলে দাঁড়িয়ে যায়, আয় হারামজাদা আইজ তোর লগে করুম! কাদের হাসতে হাসতে তারে উত্যক্ত করতে করতে চলে যায়। রমজান মাথা ধরে বসে পড়ে। তার বুক চিড়ে কান্না আসে। শালার মানুষ! এগুলোরে মানুষ কয়!

রমজান ভাবে মানুষ কী নিকৃষ্ট! বোবাপ্রাণী প্রতিবাদ করতে পারবে না জেনেও কী ব্যবহার করছে! সে মনের দুঃখে খামার বাড়ি ছেড়ে হাঁটা শুরু করে। পথি মধ্যে জোছনার সাথে দেখা হলো। জোছনা ঘুটে কুড়ানি।কিন্তু তলে তলে গাঁজার ব্যবসা করে। আজকাল তার কাপড়চোপড়ের জৌলুস বেড়ে গেছে। চেহারায় এক ধরণের কাঠিন্যের ছাপ পড়েছে। যখন কথা বলে তখন জোর দিয়েই বলে।

কী রে রমজান, তোর কী অইছে? তোরে এ রকম লাগছে ক্যান? খাস নাই কিছু?এ কথা শোনার পর রমজানের যে কী হলো তা সে নিজেই বলতে পারে না। সে হুহু করে কাঁদছে। জোছনা বু আমি মইরাই যামু, আর বাঁচতে হারতাম না! মাইনষের মুখে ঠাডা পড়ক! মাইনষের জিব্বায় ঘা হোক!
-ক্যান রে রমু?
-বুবু, তুমি আমারে একটু ভালোবাসবা?
-কী হয়েছে ক।

জগতে আমারে একটু ভালো কথা বলার মতো কেউ নেই। মায়ে বাপে হারা জীবন মাইরপিট কইরতো। মা সইতারে ন । মসু কাকারে বিয়া কইরা গেলো গা। আমরার কী অইলো কও বুবু? কে আমরারে হাইতে দে, হইত্তে দে? হারা জীবন যে বাড়িতে কাজ করতাম তারাইবা কোন দিন ভালো কইরা কথা কইছে? কইলজার ভেতর হুহু কইচ্ছে, বুবু। মন চায় মাডি কামড়াই। জোছনা বলে, হুন রমজান আমার কাছে একটা ঔষধ আছে তুই চাইলে তোরে দিমু। একতিন নিয়া খায়া দেখ। যদি মনে করস, তোর ভালা লাগে তয় কইলাম কিনে খাইতারবি। আমার কাছেই তো আছে।

কিয়ের ঔষুধের কথা কইলা বুবু?

তরে যে মাইনষে ক্ষ্যাপায়! কিয়ের কতা কয়, তোর খারাপ লাগ, কান্দন আইয়ে। হেরলাইগা ওষুধ। তুই খাইবি কইলে তোরে দিতারি।

-বুবু কও কী!
-হ ঠিক কইছি। মাইনষে তোরে যত কতাই কওক, তোর আর কান্দন ইতো ন।

জোছনা দক্ষহাতে তারে গাঁজার বিড়ি বানিয়ে দেয়। পাশে বসিয়ে নিজেও সুখ টান মারে, রমজানকে মারতে শেখায়। রমজান দ্বিতীয় টান মেরেই মাথা ঘুরে পড়ে যায়। হড়বড় করে বমি করে। জোছনা তার মাথা ধুয়ে দেয়। বলে দেখ. হইলা হইলা এ রকুম লাইগবো। হরে দেহিস ভালা লাইগবো।
রমজান ইতিমধ্যে ঘোরে চলে যায়। সে দেখতে পায় খামার বাড়িটি তাকে ডাকছে। গরুগুলো হাসছে, লেজ নাড়ছে। তার মা তার পাশে বসে রুটি খাচ্ছে, তাকেও দিচ্ছে। তার বোনেরা উঠানে এক্কা-দোক্কা খেলছে। তার বাপে বড় মাছ কিনে তার মাকে ডাকছে। রমজান মহাখুশি আজ বড়মাছের ঝোল হবে। রমজান মা মা করে ডেকে ওঠে। জোছনা তাকে জড়িয়ে ধরে। তারপর রমজানের কী হয় তা সে বুঝতে না পারলেও এইটুকু বুঝেছে তার জীবনে নারী অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে পড়েছে।

আষাঢ়স্য ঢলের মতো জোছনা তাকে ভাসিয়ে নিয়ে চললো । খামারবাড়ি- জোছনা-গাঁজা একাকার হয়ে তার সমস্ত দুঃখ-কষ্ট মুছে দিল। অপার্থিব এক এক আনন্দে সে বিভোর থাকে। রোজ জোছনা এসে তাকে মানুষ বানায়। সে সম্মানীত বোধ করে। জীবনে প্রথম তাকে কেউ আদর করে রমু বলে ডাকলো। তার নিজেকে মানুষ মানুষ মনে হয়। তার মনে যে ভয় জমে ছিলো তা জোছনার স্পর্শে বাতাসের মতো উড়ে গেছে। সে সবুজঘাসের উপর শুয়ে বাতাসে শিস কাটে, বাতাস এসে তার জমকালো দেহ ছুঁয়ে বলে, রমজান, চল, মেঘের দেশে নিয়ে যাই। সেখানে জোছনা আছে, আছে ভালোবাসা। রমজান হাসে, হাসির গমকে গমকে তার নিপীড়িত, নিষ্পেষিত জীবনের চিত্র ফুটে উঠে।

মালিক বসে থাকে, মালিকের ছেলে বসে থাকে তাদের জুতো পালিশ থেকে এঁটো খাবার সবই তাকে নিজ হাতে করতে হয়েছে। এখনো করে। রমজান খুশি মনেই করে। কারণ মাছের পেট পিঠ না হোক, মুরগীর মাংস না হোক ঝোল হরেও সে খেতে পায়। এখানে তার মা আছে। মাকে দেখতে পায়। তার বোন আছে-তাদেরকে সে দেখতে পায। মন চাইলে ভাই-বোন মিলে খেলার সুযোগ পায়। তাই রমজান কিছুই মনে করে না।

হঠাৎ রমজান হো হো করে হেসে ওঠে। জোছনাবু তুই আমারে কী শিখাইলিরে! তোরে ছাড়া ভালো লাগে না রে!

রমজান এখন পাকা গাঁজাখোর। মালকিনের দেয়া থাকার গরেই এখন তার আর জোছনার গাঁজার আসর বসে। রমজান কাইকেই কেয়ার করে না। জোছনার চোখে মুখে তৃপ্তির চিহ্ন। রমু, তুই বড় হয়ে গেচিস রে। এক্কবারে সোলেমাইন্নার মতো।
-বুবু, হে তোমারে পালাইয়া ক্যান গেলো?

– হে একটা বাদাইম্মা, একদিন আহে তো দশদিন আহে না। কই তই যায়! ফিরা আইসা হুদাই টেহা-হইসা লই চিল্লায়্ মাইরফিট করে। কদিন আর ভালা লাগে। হেরলাইগা নিজেই দিছি তালাক! খেদা দিছি।

– তয় অহন তক তুমি সোলেমানেরে বুইতারো নাইগা।
– মেলাদিন এক লগে আছেলাম, হের হাওবাও সব তো আমি বুঝি। এ শইলডার আগাগোড়া তো তার মুহস্ত। এতা সহজে ভুলন যায়!

– তয় তুমি আমারে ভালোবাসো না?

-রমু তোর কি রে অইছে? এতা কতা কস ক্যালা? চল গাঁজা ধরাই।

– আমি তোমরে বিহা কইরবার চাই।

– রমু, তোর বিয়ার কী কাম রে! বিয়া কইললে কী অয়? ধর নেয় টান দেয়। রমজান টানতে টানতে জোছনার ভেতর আবার ডুব দেয়।

সুখের আয়েসে রমজান যখর বিভোর, জোছনাকে ভেঙ্গে ছিঁড়ে রমজান যখন এগিয়ে যাচ্ছে উপকূলের দিকে তখন জোছনা তাকে দিলো মরণ কামড়। এক কামড়েই রমজান বেহুঁস হয়ে পড়লো। জোছনা বুঝতে পারলো রমজানের এখন মাথা ঠিক নেই, সে বেরিয়ে গেলো।
মালকিন এসে তাকে হাতে নাতে ধরলো।
সে দিনই রমজানকে কঠিন মাইর দিয়ে মালিক তাকে খামারবাড়ি থেকে বের করে দিলো।

রমজানের মাথায় এখন হুলিয়া। সে ঘুরে বেড়ায় আর জোছনাকে খোঁজে। তার গাঁজা চাই।
জোছনাও পুলিশ কাস্টডিতে গাঁজা বিক্রির অপরাধে। রমজানের হুলিয়া আরো জোরদার হয় যখন জোছনা কোর্টে দাঁড়িয়ে বলে –

এ গাঁজা আমার নয়। রমজাইন্নার, হে আমারে কুকাজে বাধ্য করেছে..

আরও লেখা পড়ুন।

শূয়র – শাহানা সিরাজী

আরও লেখা পড়ুন।

অচল ঢাকা – শাহানা সিরাজী

আরও লেখা পড়ুন।

অশিক্ষা -কুশিক্ষা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন – শাহানা সিরাজী

আরও লেখা পড়ুন।

ভিক্ষুক – শাহানা সিরাজী

আরও লেখা পড়ুন।

বাংলাদেশ – শাহানা সিরাজী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top