ঘড়-সংসার – সাগর চৌধুরী
সকাল সারে আটটার মধ্যেই জামানকে বের হতে হয়। অফিসের গাড়ি আসে মেইন রোডের মাথায়। সারে আটটার মধ্যে সেখানে না যেতে পারলে গাড়ি মিস নিশ্চিত।
সপ্তাহের পাঁচ দিন এভাবেই জামানের দিন শুরু হয়। শুক্র আর শনিবার সরকারি বন্ধের কারণে অফিসে যেতে হয় না। তবে এই রুটিন জুন জুলাই মাসে কিছুটা বদলে যায় । তখন অফিসে কাজের চাপ বেরে যায় বলে শনিবারেও অফিস করতে হয়।
তবে এটা বছরের কিছুটা সময় ধরে ।
ফারহানার তো সরকারি অফিস নেই। সপ্তাহের সাত দিনই তাকে সকালের নাস্তা তৈরি করতে হয়। নাস্তা শেষ করে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যেতে হয়। বাচ্চার স্কুল থেকে ফেরার
পথে সকালের বাজারটাও তাকেই করতে হয় রোজ।
দুপুরের লাঞ্চ জামান বাসা থেকেই নিয়ে যায়। কখনো বাসার খাবার ভালো না লাগলে কলিগদের সাথে বাহিরে খেয়ে নেয়। বিকেলে অফিস থেকে ফেরার পথে মন চাইলে স্ত্রীকে ফোনে জানালো কোন কিছু লাগবে কিনা।
হয়তো এটা সেটা নিয়ে সে বাসায় ফেরে। ঘড়ে আরো একজন সদস্য আছেন। জামানের মা, ফরহানার শাশুরি। উনি সারাদিন বাসায়ই থাকেন, খুব বেশি একটা বের হন না। তার সাথী বলতে নামাজের জায়নামাজ আর
তসবি। অধিকাংশ সময়ই তিনি তসবি জপেন। আল্লাহর নাম নেন। তবে মাঝে মাঝে রিফাদ তার সাথে খুনসুটিতে ব্যাস্ত থাকেন। জামান আর ফারহানার একটি মাত্র সন্তান
রিফাত। এবার কেজি ওয়ানে পড়ে।
অফিস থেকে জামান এসে বাসায় একটু চা নাস্তা সেরে আবার বেড়িয়ে পড়েন। পাড়ার ক্লাবে কেরাম খেলা চলে মাঝে মাঝে দাবা নিয়ে বসে যান কারো সাথে। খেলা শেষ হতে বেজে যায় দশটা কি তারো অধিক সময়।
খেলা শেষ করে জামান বাসায় ফিরে প্রতিদিনই দেখেন ছেলে ঘুমিয়ে গেছে। মাও খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে গেছে। ফারহানা দরজা খুলে দিয়ে খাবার টেবিলে রাতের খাবার রেডি করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। এদিকে টিভিটা চালু বলেই জামান হিন্দি চ্যানেলগুলো একটার পর একটা চেঞ্জ করতে থাকেন। একটু পরেই ডাক আসে টেবিলে খাবার দিয়েছি।
রাতের খাবার শেষ করেই জামান সোজা শোবার ঘড়ে চলে যায়। সকালে আবার অফিসের জন্য ছুটতে হবে। এটা তার প্রতিদিনের রুটিন।
শুধু শুক্রবারের রুটিনটা একটু আলাদা। বন্ধের দিনে বাচ্চাটা নিয়ে কোন শিশু পার্কে একটা চক্কর দিয়ে আসে। আবার কোন কোন শুক্রবারেও বের হওয়াও হয় না।
কিন্তু গত কয়েক দিন থেকেই জামান একটু কেমন যেন তেতে আছে। একটু থেকে একটু হলেই বেশ জোরে কথা বলে। ফারহানা বেশ ভালো করেই জানে জামান রেগে গেলে একটু জোরে কথা বলে। এই বিষয়টা তার খুব খারাপ লাগে। আর লাগবেই না কেন?
ভুল হলে সেটা আস্তে কথা বলে শোধারানো যায় কিন্তু অযথা চেঁচামেচি করে পরিবেশটা নষ্ট করে।
গতকাল বাচ্চা স্কুল থেকে ফিরে জামা নষ্ট করেছে। তার আগের দিন স্কুলে যাবার সময় ছেলে লেখার পেনসিল হারিয়েছে। জামান অফিস থেকে ফিরে সে জামা নষ্ট করার কারণ জানতে চাইলে ফারহানা বলেছে, বাচ্চারা এই বয়সে একটু আধটু এরকম করবেই।
তাতেই জামান রেগে গেল। বললো-তুমি একটা কেয়ার লেস। বাচ্চা দেখে রাখতে পারো না।’
ফাহানারও একটু মেজাজটা চড়ে গিয়েছিল সে বলে উঠলো-“ঠিক আছে তোমার বাচ্চা তুমি দেখে রেখো।
এই শুরু হলো এক কথায় দুই কথায় স্বামী স্ত্রী তুমুল ঝগড়া। নিজেদের কথা রেখে এই সেই কে কার সাথে প্রেম করেছে কে কার সাথে গল্প করেছে এই নিয়ে তুমুল বাধলো।
কার বান্ধবী কি বলেছে। কার কলিগ তার বন্ধু এই সব।
ঝগড়া এক সময় থেমে যায় এমনিতেই। কারন ঝগড়ারও একট রসদ লাগে । জ্বালানি ছাড়া যেমন আগুন জ্বলে না তেমনি রশদ ছাড়া ঝগড়া বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। দুই পক্ষই ক্লান্ত হয়ে এই যাত্রায় ইস্তফা দিল ।
মাঝখানে একটা কথায় বেশ রেশ কেটে গেল । ফারহানা বললো-“ ঠিক আছে । তোমার ছেলেকে তুমি দেখে রোখো। আর আমি যেহেতু দেখে রাখতে পারছি না, তাহলে অন্য কোথাও চলে যাবো।
জামান বললো – তাই করো।’
একই বিছানায় দুজন দু’মুখো হয়ে শুয়ে রইলো। পরের দিন যথারীতি জামানের অফিস বলে সে রেডি হয়ে অফিসে চলে গেল। সকালের নাস্তা না খেয়ে।
এদিকে ফারহানা রাতের রাগ চেপে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে না গিয়ে তার এক কলেজ জীবনের বান্ধবীর বাসায় গিয়ে
উঠলো। মনটাও তার ভালো লাগছিল না। মনটার মধ্যে কেমন একটা ঘোড় লাগা-ঘোড় লাগা মনে হচ্ছিল। এই কথাগুলো মনে পুষে আর সহ্য হচ্ছিল না। জামানের কিছু আচরণে সে ক্ষিপ্ত উঠলো দিন দিন। বিয়ে হবার পর থেকেই সে দেখে আসছে এই সমস্যাগুলো। পান থেকে চুন খসলেই সে একেবারে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে।
এর আগেও বাচ্চা বৃষ্টিতে ভিজেছে কেন ? এই নিয়ে হাজারো প্রশ্ন করেছে সে। বাচ্চা কি এখন ছোট যে; তাকে দোলানায় চেপে রাখবো। সত্যিই ফারহানা বিরক্ত হলো।
বান্ধবীর বাসায় যাবার পর বান্ধবী দেখে তো খুব খুশি হলো। এটা ওটা এনে দিচ্ছে কোনটা রেখে কোনটা খাওয়াবে বেশ হুলুস্থল। অনেক দিন পর দুই বান্ধবীর একসাথে দেখা। এরই মাঝে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
এই লাবনীর কি খবর রে ? ওর জামাই কি করে ?
ফারহানার প্রশ্নে বান্ধবী বলে-‘শুনেছি বেসরকারি একটা চাকরি করে ।
‘ওর বাবা মা বিয়ে মেনে নিয়েছে ?
‘তা জানি না। তবে ও কাজটা কিন্তু ভালো করেনি।
মুসলমান হয়ে একটা সনাতনী ধর্মের ছেলের সাথে বেড়িয়ে গেল। মা হয়ে আমিও কি মেনে নিতে পারতাম । ‘
‘না মানার কি আছে । মেয়ে যাকে পছন্দ করেছে তার সাথেই ঘর বেঁধেছে এতে মানা আর না মানার তো কথা নাবললো- ফারহানা।
তা তুই ঠিকই বললি। মুসলমান ছেলের সাথে বাবা মা বিয়ে দিয়েই যে কি সুখে আছি তাতো জানি।
কেন কি হয়েছে আবার তোর ? ফাহানার উৎসুখ প্রশ্ন ।
কি আর হবে। কপালে যা আছে তাই হবে। মনিরের কথা বললাম। বুঝলি না পুরুষরে কলিজা কাইটা দিলেও বিশ্বাস নাই। এদের কাছে নিজের আনন্দটাই আগে ।
কি হয়েছে বলতো ?
মেয়েটা হবার পর থেকেই তার এই ভাবটা লক্ষ করছি।
একদিন ঘরে আসে তো তিন দিন বাহিরে থাকে। বাসায় আসলেও এই ছুতা সেই ছুতা নিয়ে সারাক্ষণ লেগেই থাকতো।
আগে বাসায় ঠিকমত বাজার করতো কার কি লাগে সব কিছু নিয়ে আসতো কিন্তু মাঝখানে এমন অবস্থা হলো যে, ভাতের চাল পর্যন্ত ঘরে নেই। এর ওর কাছে বলার পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, সে কোন মেয়ের সাথে ফষ্টি নষ্টিতে মেতে আছে।
তার বাবা-মাকে বিষয়টা জানালাম। তার ভাই-বোনদের ও বিষয়টা জানালাম। সবাই শুনে, দেখে,অনুমান
করে লজ্জায় লাল হয়ে গেল। কি আর করা। একবার ভাবলাম মনিরকে তালাক দেব।
পরে মনিরের ভাই-বোন বাবা মা এই দুটি সন্তানের দিকে তাকিয়ে আমার এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বলে। আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। তাছাড়া ওকে তালাক দিলে এই ছেলে মেয়েটা কি হবে ?
ওরা তো একদিন বলবে বাবা না হয় এভাবে চলে
গিয়েছে, মা হয়ে তুমি কেন আমাদের ছেড়ে গেলে। এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া যদিও কঠিন। না তারপরেও শেষ পর্যন্ত সে সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসি। অবশ্য এখন ও না আসলেও সমস্যা নেই। আমার শ্বশুরশাশুড়ি নিয়মিত খোঁজখবর নেয়। বাচ্চাদের পড়াশুনার খরচও তারা বহন করে। কিন্তু গত তিনটা বছর আমার জীবনটা শেষ করে ফেলেছে ও।
ফারহানা নিশ্চুপ হয়ে বান্ধবীর কথাগুলো শুনছে।
এরই মধ্যে দুপুরের খাওয়া শেষ করে দুই বান্ধবী টিভির সামনে বসলে পুরনো আলোচনা আবার শুরু হয়। কথায় কথায় বান্ধবী প্রশ্ন করে বসে-‘জামান কেমন ?’ দেখিস ভাই আমি কিন্তু অন্ধের মতো বিশ্বাস করতাম। আর এই বিশ্বাস করেই নিজে নিজের ক্ষতি করেছি।
না, বিশ্বাস আর অবিশ্বাস কিছু না। তবে যতটুকু মনে হয় এখনো পজেটিভ। বললো ফারহানা।
আমি কিন্তু বিশ্বাস করে ঠকেছি ।
তা ঠিক । যদি তাই হয়। তোর মত জীবন কাটাবো। তখন দুই বান্ধবী এক সাথে গল্প করবো আড্ডা দেব বলে হাসলো ফারহানা।
দুই একদিনের মধ্যে কি কিছু হয়েছে তোদের ?
হয়েছে বলতে বাচ্চা নিয়ে ঝগড়া করেছি।
শোন, শোন আমারও প্রথম প্রথম কিন্তু এভাবেই বাসায় এসে ঝগড়া করতো। তারপর না খোঁজ-খবর নিজে জানলাম। তুই হাত পা ঘুটিয়ে বসে থাকিস না বুঝলি।
আমাদের একব্যাচ আগে পাশে করেছে মিলি আপাকে তো তুই জানতি। তার স্বামীর ও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। বউ ঢাকাতে রেখেছে বাচ্চাদের লেখা পড়ার অযুহাতে। মিলি আপা খুলনাতে যেতে চাইলে সে বলতো বাচ্চাদের লেখা পড়ার ক্ষতি হবে। এমন করে বছর চার পাঁচ। এই তো মাস কয়েক আগে শুনলাম তারা ডিভোর্স নিয়েছে। বাচ্চা দুটোর সে কি কান্না!
বান্ধবীর এসব কথা শুনে ফারহানার কেমন যেন কান্না পেল। তার মনে এও সঙ্কা হলো নাকি অন্য কারো প্রতি তার ঝোঁক বেরেছে। বান্ধবী বলেছে পুরুষের বিশ্বাস নাই।
জামান এভাবে কি করতে পারে ?
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা । ছেলে এসে বললো আম্মু বাসায় চলো।
ছেলের বাসায় ফেরার কথা শুনে তার চোখ গড়িয়ে পানি পড়লো।
এই ছেলে,এই সংসার সত্যিকার ভাবে তার কি আছে ? ইদানীং জামান যে আচার আচরণ করছে তাতো যুথিকার
কথার সাথে মিলে যায় । সে তাহলে অন্য কারো সাথে জড়িয়েছে ?
এদিকে, জামান সন্ধ্যায় বাসায় এলে মায়ের কাছে বউ বাচ্চার কথা জানতে চাইলো। মা বললো-‘সকালে তারা বের হয়েছে এখনো ফিরে নাই।’ জামান একটু হকচকিয়ে গেল।
কোথায় গেল ? এর ওর কাছে ফোন করলো, না কোথাও নাই। যেখানে যেখানে যেতে পারে সে সব জায়গায় ফোন করেও তাদের পাওয়া গেল না।
ফারহানার ফোনে ফোন করে সেই সন্ধ্যা থেকেই পাওয়া যাচ্ছে না। তার মনে পড়লো। গতকালের ঝগড়ার কথা। আরে সে তো বলেছে, সে চলে যাবে। কিন্তু গেলটা কোথায়?
ফোন করতে করতে সে হয়রান হয়ে গেল। পরিচিত এমন কেউ নেই যেখানে সে ফোন করেনি। এরপর শুরু হলো ফারহানার বান্ধবীদের নাম্বারে ফোন করা। তারাও সঠিক কিছু
বলতে পারেনি। তবে ফারহানার এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছালমার ফোনে ফোন করার পর ছালমা বললো-ঠিক আছে আপনি একটু ওয়েট করেন আমি চেষ্টা করছি কোথাও পাওয়া যায় কি না।’
জামানের মনের অবস্থাটাও একটু খারাপ হয়ে গেল। গতকাল কি বলতে কি বলে ফেলেছি তার ঠিক ঠিকানা নেই। তাই বলে মানুষটা এভাবে কিছু না বলে চলে যাবে। আবার
নিজেই মনে মনে বললো ঠিকই তো কেউ রাগ করে চলে গেলে তো নিশ্চয় ঠিকানা বলে যাবার কথা না। কত কি ভাবছে সে। কিন্তু ফারহানা যে রাগী মেয়ে। নিশ্চয় সে ফোনটা
অফ করে রেখেছে যাতে ফোনে তাকে না পায়।
একটু পরেই জামানের ফোনটা বেজে উঠলো। ছালমার নাম্বার থেকে ফোন। রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে ছালমা বললো-‘ওর খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু কি হয়েছে আপনাদের মধ্যে ?
জামান বলতে গিয়ে আর বলতে পারলো না। শুধু ধরা গলায় বললো-‘কোন নাম্বারের ফোন করলে তাকে পাওয়া যাবে বলুন ?
আচ্ছা দিচ্ছি দিচ্ছি ভাই।
এরই মধ্যে ফারহানার সাথে কথা বলে নিল ছালমা। তারপর বললো জামান ভাইতো তোর সাথে কথা বলতে চায়, নাম্বার চায় দেব ?
ফোন নাম্বারে ফোন করেই জামান আর কিছু বলতে পারলো না। ফারহানা যেন শুনতে পেল জামান নিশব্দে কাঁদছে। ফারহানা জামানকে ভালো করেই জানে এই নিঃশব্দে কান্নাটা
ফারহানাকে আরো স্থীর করে দিল। কারো মুখে কোন কথা নেই। নিজের অজান্তেই চোখের নিচের অংশটা ভিজে গেল।
জামান শুধু বললো-‘আমি আসছি ঠিকানাটা বল?
শহরের এই সময়টাতে রাস্তার জ্যামটা একটু কমে যায়। রাস্তা একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়।
জামান ফারহানার বান্ধবীর বাসার সামনে আসতে আসতে মিনিট ত্রিশ সময় নিল। এরই ফাকে যুথিকা, ছালমা,ফারহানা বাসার নিচে এসে দাঁড়িয়েছে।
কুশল আদি জানার পর। যুথিকা বললো ঠিকই আছে ফারহানা। এরকম মাঝে মাঝে একটু আধটু ঝগড়া করিস। তাহলে সব বান্ধবীদের সাথে দেখা হবে। না হলে তো বছরে
একবারও কেউ কারো খোঁজ-খবর নেওয়া হয় না। দেখা তো দূড়ের কথা।
জামান বললো অনুমতি পেলে এবার রওয়ানা হবো। রাত তো কম হলো না। দুটো বাজতে আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি।
বিদায় নেবার পর ছেলে বললো-জানো আব্বু, আম্মু আজ অনেক কান্নাকাটি করেছে।
ফারহানা একটু শাসনের সুরে ছেলেকে বললো-‘এই তুমি চুপ কর।
গাড়িতে চড়ে ওরা যখন বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো।
ওদের দিকে তাকিয়ে যুথিকা কি যেন মনে মনে ভাবছে। মনির কি আর কোনদিন ফিরে আসবে এভাবে তাকে ফিরিয়ে
নিতে। আর কোনদিন কি তারা একই সাথে গাড়িতে উঠবে ? আর কোন দিন কি ?
সাগর চৌধুরী
সম্পাদক ও প্রকাশক।
আরও লেখা পড়ুন।
আরও লেখা পড়ুন।
আরও লেখা পড়ুন।